ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ব্যর্থতার দলিল ছাড়া কিছুই নয়: জামায়াত

ডেস্ক রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১১
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ব্যর্থতার দলিল ছাড়া কিছুই নয়: জামায়াত

ঢাকা: সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলেছে  প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ তার সরকারের গত দুই বছরের ব্যর্থতার দলিল ছাড়া
আর কিছুই নয়।

 

শনিবার দলটির ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ এক বিবৃতির মাধ্যমে এ প্রতিক্রিয়া জানান।

দলের প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলমের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে
কথার ফুলঝুড়ি থাকলেও দরিদ্র জনগণের জন্য আশার বাণী শোনাতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
তিনি তার ভাষণে স্পষ্টভাবে তার সরকারের বিশেষ কোন সাফল্য দাবি করতে পারেননি। বরং তিনি পরিকল্পনা নিয়েছেন,
নেওয়া হচ্ছে, সাফল্য পেতে কিছু সময় লাগবে ইত্যাদি আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন মাত্র।   দুই বছর পর এসব কথা
অনভিপ্রেত।

এতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে আত্ম প্রচারণায় মশগুল ছিলেন। চারদলীয় জোট সরকারের অবাস্তব সমালোচনা করে নিজের ব্যর্থতার দায় অতীত সরকারগুলোর ঘাড়ে চাপিয়ে জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

দলের নেতা-কমীদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ এনে ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত আরও বলেছেন, তিনি গণতান্ত্রিক বলে  দাবি করলেও বিরোধী দল বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ওপর যে ধরনের জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং এখনও চলছে অতীতের কোন অনির্বাচিত স্বৈরাচারী সরকারের আমলেও তা হয়নি।
সরকারের স্বৈরাচারী ভূমিকার কারণে সংসদ অকার্যকর হয়ে পড়েছে।   তার সরকার বিরোধীদলকে সভা-সমাবেশ করতেও দিচ্ছে না।

মানবাধিকারের প্রসঙ্গে বলা হয, জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার মানবাধিকার লংঘন করছে। আইন-শৃংখলা রাকারী বাহিনী বিচার বহির্ভূতভাবে লোকদেরকে হত্যা করছে।
পুলিশের হেফাজতে আসামির মৃত্যু বেড়েই চলেছে। বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গুম করে দেওয়া হচ্ছে। অতীতের কোন সরকারের আমলে এভাবে ইভটিজিং ল্য করা যায়নি।  

সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর মুখে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন এবং মানবাধিকার রার কথা হাস্যকর।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। ত্রিপীয় চুক্তির মাধ্যমে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে এখন যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার কাজ চলছে। জামায়াতের যে সব নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের করা হয়েছে তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানোর আয়োজন চলছে।

এছাড়াও ফুলবাড়ি কয়লা খনি ও সমুদ্রে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান সম্পর্কে তিনি রহস্যময় নিরবতা পালন করেছেন।   পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তিনি কোন সাফল্য দাবি করতে পারেননি।   পাশাপাশি জনগণের মতামত উপো করে জাতির ঘাড়ে ধর্মবিমুখ শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।