ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্যই মামলা করেছিল দুদক: রফিক-উল হক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১০
মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্যই মামলা করেছিল দুদক: রফিক-উল হক

ঢাকা: ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেছেন, মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্যই মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার দুর্নীতির মামলায় ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীরের সাজা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা লিভ টু আপিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দেওয়ার পর এ মন্তব্য করেন তিনি।



প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। এর ফলে ড. আলমগীরের মামলা ও সাজা  বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকল।

আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে দুদকের দায়ের করা প্রায় ৮০টি মামলার ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

জরুরি অবস্থা চলাকালে এসব মামলায় সংসদ ভবনের বিশেষ আদালত রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছিল। ওই ব্যক্তিরা নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। এসব আপিল বর্তমানে নিষ্পত্তির অপোয় আছে।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, আপিল নিষ্পত্তির অপোয় থাকা মামলাগুলোর ওপরও আপিল বিভাগের আদেশের প্রভাব পড়বে। কারণ আপিল বিভাগের রায় মানতে অন্য আদালতগুলো বাধ্য।

তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের আদেশের ফলে হাইকোর্টে রায় বহাল থাকল। রায়ের কপি পাওয়ার পর আমরা পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করব। ’

দুদককে আপিল বিভাগের রায় অনুসরণের জন্য বলা হবে বলে তিনি জানান।
 
ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীরের আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, ‘২০০৭ সালের ৭ ফেব্র“য়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনে চেয়ারম্যান বা কমিশনার ছিলেন না। এ অবস্থায় ১৮ ফেব্র“য়ারি দুদকের তৎকালীন সচিব ৫৬ ব্যক্তির সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছিলেন। আপিল বিভাগের আজকের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে এসব নোটিশ অবৈধ। ওই নোটিশের ভিত্তিতে যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছে তাও টিকবে না। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ান ইলাভেনের সময় দুদককে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছিল। দুদক মামলা দায়ের করেছিল মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্য। সে সময় দুদক আইন মেনে চলেনি। তাই আজ এ পরিণতি। ’

ব্যারিস্টার রফিক বলেন, ‘আমরা দুর্নীতির পে নই। আমরা হচ্ছি আইনের প। ে আমরা চাই দুদক আইন অনুসরণ করুক। ’

তিন কোটি ২৭ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ মহীউদ্দিন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

সংসদ ভবনের বিশেষ আদালত ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই এ মামলায় তার ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন। রায়ের বিরুদ্ধে ড. আলমগীর হাইকোর্টে আপিল করেন।

গত বছর ১৩ জুলাই হাইকোর্ট এ মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করে তাকে খালাস দেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে দুদক।

ড. আলমগীরের পে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। দুদকের পে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৪ ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।