ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

একটি মামলায় মুজাহিদ-সাঈদীর জিজ্ঞাসাবাদ শেষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১০

ঢাকা: জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর তিন দিন রিমান্ডের শেষ দিনে শনিবার তাদের দ্বিতীয় দফায় আড়াই ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ রোববার জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য আদালতে পাঠাবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

   
 
সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ জিজ্ঞাসাবাদে পল্টনে পুলিশের উপর হামলা চালানোর ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত কি না- সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করে গোয়েন্দা পুলিশ।

মগবাজার এলাকায় জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার উপস্থিতিতে এক বৈঠকে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালানো এবং সম্ভব হলে একাধিক পুলিশ হত্যার মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা ছড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এমন অভিযোগকে সামনে রেখেই এ জিজ্ঞাসাবাদ চলে।

ওই বৈঠকে মুজাহিদ ও সাঈদী দু’জনই উপস্থিত ছিলেন এমন তথ্য গোয়েন্দা পুলিশের কাছে রয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে মুজাহিদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলেই সূত্র জানায়।

বিকেলের জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি প্রসঙ্গ তুলে বিভিন্ন প্রমাণাদি ও গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গি কমান্ডারদের রেকড করা বক্তব্য শোনানো হলে সাঈদী ও মুজাহিদ বিচলিত হয়ে ওঠেন বলেও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছে গোয়েন্দা সূত্র।

দলীয় পর্যায়ের চেয়ে কতিপয় নেতা ব্যক্তি পর্যায়েই জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্টতা রক্ষা করেন বলেও জিজ্ঞাসাবাদে জামায়াত নেতার স্বীকার করেছেন বলেও জানা গেছে।
 
জিজ্ঞাসাবাদ সূত্র আরও জানিয়েছে, জঙ্গি নেতা সাইদুর রহমান পলাতক থাকাবস্থায় অন্তত তিন দফা জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরমধ্যে সর্বশেষ গোপন বৈঠকটি হয় মতিঝিল থানার শহীদবাগ এলাকার একটি বাসায়।

শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইসহ শীর্ষ জঙ্গিদের ফাঁসি ও সারাদেশে জঙ্গি বিরোধী প্রশাসনিক অভিযানের পর জেএমবিকে নতুন করে সংগঠিত হয়ে উঠতে জামায়াতের মদদ ছিলো সে ব্যাপারেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে।
 
জেএমবির মাধ্যমে হরকাতুল জিহাদ (হুজি), হিযবুত তাহরীর ও অন্যান্য দল-উপদলকে একতাবদ্ধ করার বিশেষ মিশন জামায়াত নেতাদের রয়েছে এসব কথাও জিজ্ঞাসাবাদ থেকে নিশ্চিত করা গেছে বলে সূত্র জানায়।

শনিবার রাত ৮ টার পর মুজাহিদ-সাঈদীকে আর কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান। তিনি আরো জানান, শনিবার রাতে ডিবি কার্যালয়ে মুজাহিদ ও সাঈদীকে পৃথক ভাবে অবস্থান করতে দেওয়া হয়। আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে ডিবি (দক্ষিণ) বিভাগের হাজতখানায় এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ডিবি (উত্তর) বিভাগের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।
গোয়েন্দা দপ্তরে এ দুটি হাজতখানা থাকার কারণেই মতিউর রহমান নিজামীকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয় নি বলেই জানায় গোয়েন্দা সূত্র।

এদিকে পল্টন থানার মামলায় মুজাহিদ-সাঈদীর প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ড শনিবার শেষ হয়।   মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিল্লুর রহমান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আমার কাছে তদন্তাধীন মামলাটির ব্যাপারে আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। রোববার সংশ্লিষ্ট আদালতে ফরোয়ার্ডিং পাঠানো হবে। এতে জিজ্ঞাসাবাদে  আসামিদের দেওয়া তথ্য আদালতকে জানানো হবে। ’

বাংলাদেশের সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad