ঢাকা : কৃষি মন্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক জিএস মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘সামরিক সরকারগুলোই ছাত্ররাজনীতির আদর্শ নষ্ট করার জন্য দায়ী। ’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৮৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলে আজ শনিবার দুপুরে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এলামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিলে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন এলামনাই এসোসিয়েশন সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। প্রবন্ধে তিনি ঢাবির ঐতিহ্য তুলে ধরেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাবি’র সাবেক উপাচার্য মনিরুজ্জামান মিঞা ও এসএমএ ফায়েজ, বর্তমান প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, শিক সমিতি সভাপতি ড. খন্দকার বজলুল হক, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ। আলোচনা সভার শুরুতে এভারেস্ট জয়ী প্রথম বাংলাদেশী মূসা ইব্রাহীমকে ঢাবি’র প থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘১৯৫৮ সালের সামরিক শাসকরা নিজেদের প্রয়োজনে ছাত্র রাজনীতি ব্যবহার শুরু করে। এর পরই শুরু হয় ছাত্ররাজনীতির ঐতিহ্য নষ্ট হওয়া। ’ তিনি বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি হবে মানবকল্যাণের জন্য। ছাত্রছাত্রীদের মাঝে জ্ঞানের শিখা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ছাত্ররাজনীতির নামে বর্তমানে যা চলছে তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। ’
অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ বলেন, ‘আবাসিক সমস্যা সমাধান করতে পারলে ঢাবি’র রাজনৈতিক সমস্যাও অনেকাংশে কমে যাবে। আমাদের শিার মান আগের চেয়ে ভালো। তবে বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় মানের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। কারণ ওইসব বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পায়, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পায়না। ’ গবেষণার মান বাড়াতে পারলে শিার মান আরো উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাবি নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতেও সব আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই তা নির্দেশ করবে।
বাংলাদেশ সময় ১৯০০ ঘণ্টা, ৩ জুলাই ২০১০