ঢাকা: বড়ভাইয়ের কথামতো একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের অনুসারী হতে রাজি না হওয়ায় ওই বড়ভাই তার ‘অবাধ্য’ ছোটভাইয়ের অর্থসম্পদ লুটে নিয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন চট্রগ্রাম জেলার বড় হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মোমেন।
লিখিত বক্তব্যে মোমেন জানান, তিনি বিগত সাত বছর বাহরাইনে থাকাকালে দেশে তার আপন বড়ভাই নাসরিউদ্দিনের ঠিকানায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার মিলিয়ে প্রায় সাত লাখ টাকা পাঠান। কিছুদিন আগে দেশে ফিরে ব্যবসার জন্য বড়ভাইয়ের কাছে ওই টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকার কথা অস্বীকার করেন। উপরন্তু ছোটভাইয়ের কাছ থেকে আরও ৬ লাখ টাকা পাবেন দাবি করে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন নাসির।
এ মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ১১ দিন হাজতবাস শেষে বিনাশর্তে তিনি মুক্তি পান বলে জানান মোমেন।
আবদুল মোমেন জানান, এ ঘটনার পর বড়ভাই নাসির তাকে পৈতৃক ভিটেমাটি থেকেও উচ্ছেদ করেন এবং তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় চেয়াম্যান ও মেম্বারদের কাছে সহযোগিতা চাইলে প্রথমদিকে তারা তাকে সাহায্যের জন্য আশ্বস্ত করলেও পরে দায় এড়িয়ে যান।
তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনায় নিম্নআদালতে একটি সাধারণ ডায়েরি করার পরেও স্থানীয় পুলিশ তাকে কোনো ধরনের সাহায্য করছে না।
তিনি বলেন, তার ভাই নাসির স্থানীয় জামায়াত নেতা এবং জামায়াত-শিবিরের প্রভাবশালী লোকজনের সঙ্গে নাসিরের ওঠাবাসার কারণে পুলিশ বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে কোনো ধরনের সাহায্য পাচ্ছেন না তিনি।
আবদুল মোমেন আরও অভিযোগ, শুধু জামায়াতের অনুসারী না হওয়ার কারণেই তার ভাই তার অর্থসম্পদ লুটে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মোমেন দেশের আর দশজন নাগরিকের মতো স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করার জন্য প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেন। এছাড়াও বড়ভাই কর্তৃক আত্মসাৎকৃত তার কষ্টার্জিত টাকাও ফেরত চান তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১০