ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

তাড়াহুড়া করে বিচার করলে যুদ্ধাপরাধীরা বেরিয়ে যেতে পারে- আইন প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১০
তাড়াহুড়া করে বিচার করলে যুদ্ধাপরাধীরা বেরিয়ে যেতে পারে- আইন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে তাড়াহুড়া করতে গেলে তারা আইনের ফাঁক- ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। ’ তাড়াহুড়া না করে সঠিক তদন্ত করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।



তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন যারা খুব তাড়াহুড়া করছেন। তাড়াতাড়ি বিচার করতে হবে বলে বলছেন। তাদেরকে বলছি, হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। বেশি আবেগী হওয়ারও কারণ নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। ’

শনিবার সকালে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে প্রত্যাশা সংগঠন আয়োজিত ‘দেশের কৃষক-জনতা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখতে চায়’ শীর্ষক  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে বিএনপি সরাসরি মাঠে নেমেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, বিএনপি একাত্তরের ঘাতকদের দল। মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামের লোকজনই বিএনপিতে এসেছে। ’

তিনি ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তখন কমিউনিস্টরা ন্যাপ গঠন করেছিলেন। কেউ কেউ আওয়ামী লীগ করতেন। স্বাধীনতার পর কমিউনিস্ট পার্টিকে  রাজনীতি করার বৈধতা দেওয়া হলে, তারা কমিউনিস্ট পার্টিতে ফিরে যান। ’

তিনি বলেন, ‘ঠিক একই রকম ’৭৫-এর পর জিয়া যখন অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসেন, ’৭১-এ পরাজিত সেই ঘাতকদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেন। তারা এখনো বিএনপির মধ্যেই আছেন। সাকা চৌধুরীর পার্টি ছিল মুসলিম লীগ। তিনি এখন বিএনপির নেতা। ’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতি গোলাম আজম, নিজামী, মুজাহিদ, সাকা চৌধুরীসহ চিহ্ণিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আগে দেখতে চায়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনো প্রতীকী বিচার হবে না। সারা দেশে যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যেমন- গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নারী ধর্ষণ করেছেন, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সেই সংখ্যা যতই হোক না কেন! প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে। ’

আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম যুবদলের উদ্দেশে বলেন, ‘ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি দখলের কথা বলছেন। এটি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। আপনাদের ক্ষমতা কতটুকু, তা আমরা জানি!’

তিনি বলেন, ‘এই বাড়ি ঐতিহাসিক বাড়ি! এটি শেখ হাসিনা ট্রাস্ট করে জনগণকে দান করে দিয়েছেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।