ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজে স্থবিরতা

শামীম খান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১০
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজে স্থবিরতা

ঢাকা : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজ আবারও স্থবির হয়ে পড়েছে। গত মার্চে শুরু হওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলা-সফর এবং বর্ধিত সভার কর্মসূচি এখনো শেষ করতে পারেনি দলটি।



গত ১৮ মার্চ কেন্দ্রীয় নেতাদের এ সাংগঠনিক জেলা-সফর কর্মসূচি ও জেলার বর্ধিত সভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় দলের সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজ। গত ১৮ মার্চ কেন্দ্রীয় নেতাদের এ সাংগঠনিক জেলা সফর কর্মসূচি শুরু হয়। এক মাসে ৭৩টি সাংগঠনিক জেলায় বর্ধিত সভা সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে সফর কর্মসুচি শুরু হলেও ২১টি জেলায় সফর এখনো বাকি রয়েছে।

তবে বাকী জেলাগুলোর সফর দ্রুতই শেষ করা হবে বলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন।
 
আওয়ামী লীগ মতায় আসার পর কেন্দ্রীয় নেতাদের এটাই প্রথম সাংগঠনিক সফর কর্মসূচি। সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি এই সফরের উদ্দেশ্য, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগঠনমুখী করে সংগঠনকে গতিশীল করে তোলা।

আওয়ামী লীগ মতায় আসার পর দলের সর্বস্তরেই এক শ্রেণীর নেতাকর্মী মতার প্রভাব খাটাচ্ছেন এবং ব্যক্তিস্বার্থের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদের অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্বেও রয়েছেন। ব্যক্তিস্বার্থ ও প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে নেতাকর্মীরা জড়িয়ে পড়ছেন আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে। এর ফলে প্রায় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলার চেয়ারম্যান, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে গ্র“পিং তৈরি হয়েছে। প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতের  ঘটনা ঘটছে।

এই সমস্যাগুলো নিরসন করে দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সাংগঠনিক সফরের কর্মসুচি নেওয়া হয় বলে দলের সভাপতিমন্ডলির একজন প্রভাবশালী সদস্য বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান। কেন্দ্রীয় নেতাদের সফরের পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বলেও স্বীকার করেন তিনি।
 
এ অভিযোগের আংশিক সত্যতা স্বীকার করে সাংগঠনিক সফরে অংশ নেওয়া একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘আভ্যন্তরীণ সমস্যা যেটা রয়েছে সেটা স্বল্প সময়ে সমাধান সম্ভব হচ্ছে না। ’

এদিকে সাত সাংগঠনিক বিভাগের মধ্যে সব চেয়ে বেশি জেলা-কর্মসূচি বাকি রয়েছে ঢাকা বিভাগে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার ব্যাপারেও কোনো উদ্যোগ নেই। এ ব্যাপারে মহানগর নেতারাও কিছু বলতে পারছেন না।

মহানগর সধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসনে চৌধুরী মায়ার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এই প্রতিবেদককে তিনিও সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।

এ প্রসঙ্গে দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, সাংগঠনিক সকল কর্মসূচি দ্রুতই শেষ করা হবে।   কোথায়ও কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলোও সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশ সময় ১১৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।