ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সিরাজগঞ্জে ট্রেন পোড়ানোর মামলায় ৭ বিএনপি নেতার আগাম জামিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১০
সিরাজগঞ্জে ট্রেন পোড়ানোর মামলায় ৭ বিএনপি নেতার আগাম জামিন

ঢাকা: সিরাজগঞ্জে সয়দাবাদে ট্রেন পোড়ানোর একটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের আগাম জামিন পেয়েছেন বিএনপির সাত নেতা।

একইসঙ্গে তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না- এই মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।



আগাম জামিন পাওয়া বিএনপি নেতারা হলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্রিগেডিয়ার (অব.) হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীমকে।

সোমবার বিচারপতি শামীম হাসনাইন ও বিচারপতি রেজা-উল হাসানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে সিরাজগঞ্জের ঘটনায় বাকি আটটি মামলার ৩৩ আসামিকেও জামিন দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া অভিযোগপত্র না দেওয়া পর্যন্ত এফআইআর বহির্ভূত ব্যক্তিদের আটক বা হয়রানি না করতে রুলও জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের জন্য এই রুল জারি করা হয়েছে।

গত ১১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমাবেশস্থলের কাছে ট্রেনে আগুন, সরকারি সম্পদ নষ্ট, লুটতরাজ ও ট্রেন চালককে মারধরের ঘটনায় মোট নয়টি মামলা করা হয়।

বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যরিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ব্যরিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবি।  

আদেশ ঘোষণার পর খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যে মামলায় সাত বিএনপি নেতা জামিন পেয়েছেন সেটি সিরাজগঞ্জের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নজির নেই যেখানে একজন এপিপি বাদি হয়ে রাজনৈতিক মামলা করেন।

তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পরে ৫শ’ গজ দূরে ট্রেনটি থেমে যায়। ট্রেনটি যদি চলে যেত তবে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটত না। ট্রেনটিকে তিন ঘন্টা নির্বিঘ্নে পুড়তে দেওয়া হয়েছে।

মাহবুব হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া তিন বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার সমাবেশ উপলক্ষে সেখানে আইন শৃংখলা বাহিনী নিয়োজিত ছিল। তারা কেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ট্রেনটি পুড়তে দেখল, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করল না।

তিনি জানান, খালেদা জিয়ার সমাবেশ সিরাজগঞ্জ কলেজ মাঠে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সংবর্ধনার কথা বলে সেখানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সংবর্ধনাও অনুষ্ঠিত হয়নি।

তিনি বলেন, ঘটনাটি পরিকল্পনামাফিক হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সিরাজগঞ্জের এ ঘটনায় দুই তিন হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে এটা করেছে যেন পুলিশ বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করতে পারে। তারা যেন বিএনপির আন্দোলনে অংশ নিতে না পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১০৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad