ঢাকা: দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সরকারি ও বিরোধী দল উভয়কেই সমঝোতা ও আলোচনার পথ খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সকালে পাবলিক লাইব্রেরির সেমিনার কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে এশিয়ান জার্নালিস্ট চেরিটেবল সোসাইটি।
সরকারি ও বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে সমঝোতা আলোচনার সব দরজা বন্ধ করে দেবেন না। আলোচনা জন্য অন্তত কিছু পথ খোলা রাখুন। জাতীয় স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে ইতিহাস তা মনে রাখবে। ’
তিনি অভিযোগ করেন, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর একদল নতুন আওয়ামী লীগার বাড়াবাড়ি শুরু করেছে। এরা দলের প্রকৃত নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য ও অপকর্ম করে প্রতিপক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘এদেরকে আশকারা দিবেন না। এদের জন্য দলকে আগমী নির্বাচনে মাশুল গুণতে হবে। জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে এসব অপকর্মের জবাব দিবে। ’
তিনি বিরোধী দলকে শুধু বাড়ি নয়, জনগণের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় কৃষি সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান বলেন, ‘আদালতের রায় অনুযায়ী পুনর্মুদ্রন নয়, সংসদে আলোচনার মাধ্যমেই সংবিধানের সংশোধন হওয়া উচিত। ’
তিনি বলেন, ‘আদালতের রায় অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করা হলে পরে আবার কোনও রায় আসলে আবার সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তাই সংসদেই সংবিধান সংশোধন হওয়া উচিত। ’
অনুষ্ঠানে ১৯ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে তাদের অবদানের জন্য গুণীজন সম্মাননা পদক দেওয়া হয়।
এশিয়ান জার্নালিস্ট চেরিটেবল সোসাইটির সভাপতি মোজাহারুল ইসলামে সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, ভূমি সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাংসদ অধ্যক্ষ খাদিজা খাতুন, হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১০