ঢাকা: বিদ্যালয় থেকে মেয়েশিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ছেলেদের দ্বিগুণ। মাধ্যমিক বিদ্যালয় শেষ করার আগেই ২৭ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে।
এভাবে মেয়েশিক্ষার্থী ঝরে পড়া বন্ধ করতে না পারলে এমডিজি ২ (সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন) এবং এমডিজি ৩ (নারীর ক্ষমতায়ন) অর্জন সম্ভব হবে না বলে মত দিয়েছেন বক্তারা।
সোমবার সিরডাপ মিলনায়তনে নারী প্রগতি সংঘের আয়োজনে ‘নরীর জন্য এমডিজি (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) অর্জন : বর্তমান অবস্থা ও করণীয় ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, এক দশক আগের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশে নারীর কর্মসংস্থানের হার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলেও তা এখনও মোট কর্মসংস্থানের মাত্র ২৬ শতাংশ। আর এর বেশিরভাগই হয়েছে মেয়েদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে।
নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবিরের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, এডভোকেসি ফোরামের সমন্বয়কারী মহসীন আলী, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপচার্য ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ক্যাম্পেইন-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মনীষা বিশ্বাস প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্ককর তালুকদার বলেন, ‘নারী অধিকারের ক্ষেত্রে আমাদের দেশ অনেক এগিয়েছে। নারী ক্ষমতায়নে সৃষ্টি করেছে উদাহারণ । সংসদে আইন করে প্রথমে নারীর নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন সংরণ ও পরবর্তীতে তা বাড়ানো হয়েছে যা পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতও করতে পারেনি। ’
এ সময় বক্তারা কর্মস্থলে নারীদের ক্ষেত্রে বেতন বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, পোশাকশিল্প নারীর কর্মসংস্থানের একটি বড় ক্ষেত্র হলেও তারা এখানে ন্যূনতম মজুরির চেয়েও কম বেতন পায়।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে মিলেনিয়াম গোল লক্ষমাত্রার কিছু কিছু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও মাতৃমৃত্যুর হার অনেক বেশি। এখানে প্রতিবছর ২০ হাজার মা সন্তান জন্মদানের সময় মারা যায়।
তাই স্বাস্থ্যখাতে বিশেষত নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখার দাবি জানান তারা।
এছাড়া উত্তরাধিকার আইন সংস্কার করে সম্পত্তি ও অন্যান্য আর্থিক সম্পদের ওপর নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করারও দাবি জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ সময় ১৮৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বের ২০, ২০১০।