ঢাকা: র্যাব ও ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার ১১ প্রতারকের সবাইকে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেএই আসামিদের আদালতে হাজির না করায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে।
সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু বকর আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) আবেদন করেন।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাকিম ইসমাইল হোসেন শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- নান্নু মিয়া, মো. সেলিম, শেখ জাবেদ, আবু সাঈদ, মামুন মিয়া, শহিদুল ইসলাম, দুলাল মিয়া, শাহ আলম শিকদার, কাজী ইউনুস, সিরাজুল ইসলাম ও মো. নাসির।
শনিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, রমনা পার্ক, জুরাইন ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অভিযান চালিয়ে র্যাব ও পুলিশবেশী এসব প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এদের কাছ থেকে র্যাবের ব্যবহৃত হ্যান্ডকাফ, একটি ওয়্যারলেস সেট, একটি চার্জার ও লাঠি উদ্ধার করা হয়।
এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এরা নিজেদের র্যাব কিংবা ডিবি পুলিশের লোক বলে পরিচয় দিয়ে হুন্ডি ব্যবসায়ী, ট্রাভেল এজেন্সি ও মানি লন্ডারিং ব্যবসায়ীসহ লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতো।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আজিজ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১০