নিউইয়র্ক : জাতিসংঘের পিস কিপিং অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আলাঁ লে রয় বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরা মিশনে বাংলাদেশের সদস্যই এখন সবচেয়ে বেশি। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সঙ্গে সৌজন্য সাাৎকালে তিনি একথা বলেন।
ওই দিনই সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, জাতিসংঘ শান্তিরা মিশনে যোগদানের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার একটি নতুন দল বাংলাদেশ ত্যাগ করায় সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন মিশনে শান্তি রার কাজে নিয়োজিত বাংলাদেশি সদস্যের সংখ্যা এখন সবচেয়ে বেশি। এর আগে শান্তিরা মিশনসমূহে পাকিস্তান ছিল সর্বোচ্চ সেনা সদস্য প্রদানকারী দেশ।
উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপকালে আলাঁ লে রয় শান্তিরা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশী সদস্যদের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে আরো সামরিক সরঞ্জাম, বিশেষ করে হেলিকপ্টার এবং ফ্রিগেট নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিংয়ের (বিপসাট) প্রশংসা করেন।
মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক আহমেদ সিদ্দিক শান্তিরা মিশনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে (পলিসি মেকিং লেভেলে) কর্মকর্তা নিয়োগের েেত্র সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য প্রদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য মঁশিয়ে আলাঁ রয়কে অনুরোধ জানান।
এসময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং প্রতিরা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইব্রাহিম জামাল উপস্থিত ছিলেন। এরপর উপদেষ্টা জনাব সিদ্দিক জাতিসংঘ শান্তিরার কাজে নিয়োজিত জাতিসংঘ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশের সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে “ইউএন পিস কিপিং : লুকিং ইনটু দ্য ফিউচার’’ শীর্ষক “জেনারেল অ্যাসেম্বলি থিমেটিক ডিবেট’’ এ প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। এ অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি ওডেন আজুরনোগোরিয়া এবং ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন অধিবেশনের শুরুতে উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন।
জাতিসংঘ শান্তিরা মিশনে সদস্য প্রেরণকারী দেশসমূহ তাদের কর্মেেত্র যেসব সমস্যা, অভিজ্ঞতা এবং বিশেষত্ব অর্জন করে তা নিয়ে এ অধিবেশনে ব্যাপক আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৫৮ ঘণ্টা, ২৪ জুন ২০১০
পিআইডি/এএইচএস/জেএম