বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ১২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর গেলো ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ৬ জেলায় সর্বোচ্চ ১৯৬ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করা বরগুনা জেলা সদরের জাহাঙ্গীর আলম খান (৭০) ও এ সালাম খান (৭০) এর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। ফলে এ নিয়ে বিভাগে মোট মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে ৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ২৫ হাজার ৩৩২ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ২১ হাজার ২৬১ জনকে। ইতোমধ্যে ১৮ হাজার ১৩১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ৪ হাজার ৭১ জন রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৭৪ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৫ জনকে ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে।
শুধু বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরম ধ্যে ৫১ জন করোনা পজেটিভ রোগী ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ২ হাজার ২৩ জন, পটুয়াখালীতে ৭৫২, ভোলায় ৪২২, পিরোজপুরে ৪৪৩৩, বরগুনায় ৪৩৬ ও ঝালকাঠিতে ৩৫৯ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। গোটা বিভাগে ২ হাজার ২৫ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন।
এছাড়া মৃত্যু হওয়া করোনা পজেটিভ ৮৮ জনের মধ্যে বরিশাল নগরসহ জেলায় ৩৩ জন, পটুয়াখালীতে ২৫ জন, ঝালকাঠিতে ১১ জন, পিরোজপুরে ৭ জন, বরগুনায় ৭ ও ভোলায় ৫ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
এমএস/এমজেএফ