ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুজিববর্ষে রোপিত প্রতিটি গাছ স্মারক বৃক্ষ: শাহাব উদ্দিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
মুজিববর্ষে রোপিত প্রতিটি গাছ স্মারক বৃক্ষ: শাহাব উদ্দিন বনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন

ঢাকা: মুজিববর্ষে সারাদেশে রোপিত ১ কোটি গাছকে ‘স্মারক বৃক্ষ’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, এক কোটি চারা ছাড়াও চলতি বৃক্ষ রোপণ অভিযানকালে প্রতিটি সংসদীয় আসনের বিপরীতে ৫ হাজার করে মোট ১৫ লাখ বনজ, ফলদ ও ওষুধি চারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংস্থার ক্যাম্পাসে রোপণের জন্য বিতরণ করা হবে।

এছাড়াও বন বিভাগের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় এ অর্থবছরে ৭ কোটি বৃক্ষ রোপণ করা হবে বলে জানান বনমন্ত্রী।

বুধবার (১৫ জুলাই) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিব বর্ষের আহ্বান, লাগাই গাছ বাড়াই বন’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে সারাদেশে ১ কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচি বিষয়ে ভার্চ্যুয়াল সাংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় রোপণ পরবর্তীকালে এসব চারার যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরপরই প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে ন্যূনতম একটি করে বনজ, ফলদ ও ওষুধি বৃক্ষের চারা রোপণের মাধ্যমে একই দিনে কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় উৎসারিত দূরদর্শী ভাবনা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন বৃক্ষরোপণ অভিযান, যার ধারাবাহিকতায় উপকূলীয় চরাঞ্চল বনায়নে সফল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অন্যতম। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে মুজিববর্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রতিটিতে ইতোমধ্যে ২০,৩২৫টি করে বিবিধ প্রজাতির বনজ, ওষুধি ও ফলদ বৃক্ষের চারা বন বিভাগের নার্সারীতে উত্তোলন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটি চারা বিতরণ ও রোপণ বিষয়ে বিষদ কর্মপরিকল্পনাসহ চারা গ্রহণকারীদের তালিকা প্রণয়ন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর একে এম রফিক আহাম্মদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ শামীম আল রাজী এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০ 
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।