ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পূর্বাভাস নেই, তবুও বন্যার হুমকি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
পূর্বাভাস নেই, তবুও বন্যার হুমকি

হবিগঞ্জ: কখনো ঝিরঝির বৃষ্টি আবার কখনো ভারী। জোর হাওয়া ছিল কয়েক জায়গায়। শনিবার (১১ জুলাই) ভোর রাত থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত চলছেই। দুপুরে এক চিলতে রোদ দেখা দিলেও তা স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। 

হবিগঞ্জ জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বন্যার পূর্বাভাস নেই। তবুও অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে আতঙ্কিত হাওরবাসী।

ইতোমধ্যেই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েকশ’ গ্রামের মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হিলালপুর, পিরিজপুর, গুচ্ছগ্রাম, বদলপুর, নোয়াগাঁও, পিটুয়ারকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও জেলাজুড়ে কয়েকশ’ গ্রামে বাড়ির চারদিকে পানি উঠতে থাকায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

এদিকে, হবিগঞ্জ জেলা শহরের শায়েস্তানগর, দক্ষিণ শ্যামল, উত্তর শ্যামলী, নারিকেলহাটা, যশের আব্দাসহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক বাসার ভেতর চলে এসেছে পানি। বিভিন্ন রাস্তাঘাটও তলিয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে। এ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শহরবাসী।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হিলালপুর গ্রামের ওয়ারিশ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, গেল দুইদিন ধরে পানি বৃদ্ধির মাত্রা ছিল কম। তবে বুধবার টানা প্রায় ১০ ঘণ্টার বৃষ্টিতে বাড়ির ভিটেই পানি চলে এসেছে। আর কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হলে ঘরও তলিয়ে যাবে।

ভারী বৃষ্টিতে বাড়ির আঙিনায় পানি।  ছবি: বাংলানিউজতিনি আরো জানান, আজমিরীগঞ্জ থেকে পাহাড়পুর পর্যন্ত রাস্তার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে পানিতে ডুবে গেছে। যে কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। হেঁটেও যাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় কাজে।

হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার বাসিন্দা নূরুল হক কবির বাংলানিউজকে জানান, ভোর রাত থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাতের ফলে তাদের বাসার ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। যে কারণে বিভিন্ন কাঠের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি থাকায় খাটের উপরে থেকেই তাদের জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে থালা বাসন দিয়ে ঘর থেকে পানি সেচতে দেখা গেছে লোকজনকে।  

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএল সৈকত বাংলানিউজকে জানান, জেলার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। যেহেতু ত্রিপুরা রাজ্যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না তাই নদীতে পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা কম। সরকারের পক্ষ থেকে এ জেলায় বন্যার পূর্বাভাসও নেই। তবে হাওরাঞ্চলে স্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১ ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।