তিস্তা ব্যারাজের উপ-সহকারী (পানি পরিমাপক) প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলে শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত ৯টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বাংলানিউজকে জানান, তিস্তার পানি উঠা-নামায় কিসামত ছাতনাই ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনামা, ভেণ্ডাবাড়ী ও ফরেস্টের চড়ের আশপাশ এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে এলাকার ১০ হাজার পরিবার। তিস্তা অববাহিকায় চর বেষ্টিত নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বাংলানিউজকে জানান, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫টি চর ও চর গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ওই সব এলাকার বসবাসকারীরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, জেলার জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী বানপাড়ায় ডানতীর গ্রাম রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা আশরাফ আলী জানান, পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই আতঙ্কে আছেন। এই বাঁধ ভেঙে শুধু বানপাড়ায় নয়, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের ২০ হাজারেরও বেশি পরিবারের ঘরবাড়ি তিস্তার পানিতে তলিয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভারী বৃষ্টি আর উজানে ঢলের কারণে শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে শনিবার সকালেও ডালিয়া পয়েন্টে পানি ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা কিনা শুক্রবার সকালেও এই পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। তবে দুপুরের পর থেকে পানি বেড়ে বিকেলে ১৫ সেন্টিমিটার ও সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে বন্যার পানি সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২০
এসআরএস