ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

১১ জুলাই থেকে আরও ২৩ জেলায় বন্যা হতে পারে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২০
১১ জুলাই থেকে আরও ২৩ জেলায় বন্যা হতে পারে

ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাসের সংকটের মধ্যে দেশের আরও ২৩ জেলা বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। আগামী ১১ জুলাই থেকে এসব জেলায় বন্যা দেখা দিতে পারে। বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) বিকেলে সচিবালয় থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও বহ্মপুত্রের পানি বেড়ে নতুন করে ২৩টি জেলা বন্যায় প্লাবিত হবে।

এসব জেলা হলো- রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ।

তিনি বলেন, আমরা আম্পান মোকাবিলা করলাম, এরপরেই ২৬ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদী বন্যা মোকাবিলা করছি। ৭ জুলাই থেকে ১২টি জেলায় বন্যা অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চলে এসেছে।

উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং সিলেট বিভাগসহ দেশের মধ্যাঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

এসব জেলায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোসহ আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এনামুর রহমান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ২৩টি জেলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সব জেলায় ২০০ মেট্রিকটন করে চাল, দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং শিশু খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা এবং নগদ তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে যেন পানি বাড়লেও মাঠ প্রশাসন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারে।

বন্যাকবলিত এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন, তিনি সময় আপনাদের খবর রাখেন এবং আমাদের নির্দেশ দেন। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। কাজেই কোনো অবস্থাতেই খাবারের কোনো সঙ্কট হবে না।

এরইমধ্যে পাহাড়ি ঢল এবং গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে দেশের প্রায় ১৪ জেলা বন্যাকবলিত। গাইবান্ধা, জামালপুর, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে বন্যায় ভেসে গেছে বাড়িঘর, জমিজমা ও সড়ক। পানিবন্দি হয়ে আছে জনগোষ্ঠীও। কোথাও কোথাও নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কিছু এলাকায় পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি। পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের ফসল। মহাসড়কের পাশে আশ্রয় নিয়েছে বানভাসি মানুষ। করোনা সংকটের মধ্যে বন্যার কবলে পড়ে দিশেহারা তারা।

এনামুর বলেন, বন্যার কারণে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে হবে। সেজন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি ডিসিরা যেন বেশি বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেন। কারণ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চলছে, এই পরিস্থিতিতে সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে নগদ টাকাসহ যেসব সামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয় তা যেন দেশের মানুষ জানতে পারেন সেজন্য জেলা প্রশাসকগণকে তাদের ওয়েবসাইটে বরাদ্দের বিষয়টি প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইন জুমে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।