তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আইনশৃংখলা বাহিনী মামলা করেছে। মামলার প্রতিবেদন ১৭ আগস্ট প্রকাশ হবে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বুড়িগঙ্গায় নৌদুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন’ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার নিরাপদ নৌপথ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। নৌযান মালিক, শ্রমিক ও জনগণ সবার স্বার্থ দেখছে সরকার। ভেসেল ট্রাফিক সিস্টেম (ভিটিএস) চালুর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। ভিটিএস চালু ও ডিজিটালাইজড হলে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। জনগণের অনুভূতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১১ বছরে দেশের অন্যান্য সেক্টরের মতো নৌ-সেক্টরকে শৃংখলার মধ্যে আনার চেষ্টা করা হয়েছে, অনেকটা শৃংখলার মধ্যে এসেছে। ভিটিএস, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ ভেসেল তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে একটি মেরিন একাডেমি ছিল। নতুন চারটি মেরিন একাডেমি করা হয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে কাজ করা হচ্ছে। ঢাকা সদরঘাটের ওপারে ডকইয়ার্ড স্থানান্তরের কার্যক্রম চলমান।
নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী তদন্ত কমিটির ২০ দফা সুপারিশ সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। এসময় অন্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম মোহাম্মদ সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিটির ২০ সুপারিশগুলো হলো:
সদরঘাট থেকে ভাটিতে ৭/৮ কিমি এবং উজানে ৩/৪ কিমি অংশে অলস বার্দিং উঠিয়ে দিতে হবে। এ অংশে পন্টুন ছাড়া নোঙর করা নৌযান রাখা যাবে না। এ অংশ থেকে পর্যায়ক্রমে শিপইয়ার্ড ও ডকইয়ার্ড উঠিয়ে দিতে হবে। সদরঘাট টার্মিনালের আশপাশে কোনো খেয়াঘাট রাখা যাবে না। লঞ্চের সামনে, পিছনে, মাস্টার ব্রিজ, ইঞ্জিন রুম, ডেকে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোসহ লঞ্চে পর্যায়ক্রমে ওয়াকি-টকি সিস্টেম চালু করতে হবে।
লঞ্চ/জাহাজ ঘাট ত্যাগ করার আগেই ঘাটে ভয়েস ডিক্লিয়ারেশন দাখিল বাধ্যতামূলক করতে হবে। ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল বন্ধসহ লঞ্চে জীবন রক্ষাকারী লাইফ জ্যাকেট ও বয়া রাখতে হবে। সব নদীপথে বিভিন্ন নৌযানের স্পিড লিমিট নির্ধারণ করে দিতে হবে। সদরঘাটে স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য টাওয়ার স্থাপন ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। লঞ্চে মেকানিক্যাল স্টেয়ারিংয়ের পরিবর্তে ইলেক্ট্রো হাইড্রলিক স্টেয়ারিং প্রবর্তন করার উদ্যোগ নিতে হবে। যাত্রীবাহী লঞ্চে মেইন ইঞ্জিন লোকাল কন্ট্রোল সিস্টেমের পরিবর্তে ব্রিজ কন্ট্রোল সিস্টেমের ব্যবস্থা নিতে হবে।
যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ করে শিশু, নারী, বয়স্ক লোকদের ওঠা-নামার সুবিধার্থে গ্যাংওয়ে/ব্রিজ স্থাপন করতে হবে। সদরঘাটে পন্টুনের সংখ্যা বাড়ানোসহ ২০ দফা তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
জিসিজি/এএ