ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক, পরে টাকা পাঠালেই ফেরত

স্বপন চন্দ্র দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২০
বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক, পরে টাকা পাঠালেই ফেরত

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের মিটার চুরির পর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠালেই সেটি ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটছে। 

মিটার চোরের একটি সিন্ডিকেট অভিনব পন্থায় টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ এর জেনারেল ম্যানেজার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) শামীম কাওসার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার (০৩ জুলাই) রাতে বহুলী ও শিয়ালকোল এলাকায় ১২ জন গ্রাহকের মিটার চুরি হয়। পরে মিটার রাখার স্থানে চোর চক্রের ফেলে যাওয়া চিরকুটে লেখা মোবাইল ফোন নম্বরে দাবিকৃত টাকা পাঠালে সেগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়। গত শনিবার গ্রাহকেরা এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এরপর রোববার (৫ জুলাই) সকালে কামারখন্দের ভদ্রঘাট এলাকা থেকেও এমন অভিযোগ এসেছে। বছর খানেক আগেও নাটোর জেলায় এমন অভিনব পন্থায় মিটার চুরির পর টাকা আদায়ের কথা শোনা গেছে।

ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিযোগকারী সদর উপজেলার রহিমপুর গ্রামের সামিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে বহুলী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ, শিয়ালকোল ইউনিয়নের চন্ডিদাসগাঁতী গ্রামের আব্দুর রহমান ও মতিয়ার এবং বহুতী গ্রামের মকবুল, ফজলুল করিম, হাফিজুল ও নুরনবীসহ ১২ জন গ্রাহকের মিটার একযোগে চুরি হয়। চুরি যাওয়া প্রতিটি মিটারের স্থানে একটি করে চিরকুটে মোবাইল নম্বর (০১৬২৩৩৩৮৭১৩) রাখা হয়।  

শনিবার (০৪ জুলাই) সকালে ওই নম্বরে ফোন দেন ভুক্তভোগীরা। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে একটি বিকাশ (০১৭৬৫২১৫৭৬৯) নম্বর দিয়ে প্রত্যেককেই চার হাজার টাকা করে পাঠাতে বলা হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা ওই নম্বরে টাকা পাঠানোর পর আবার ফোন করলে মিটার কোথায় রাখা আছে তা বলে দেওয়া হয় অপরপ্রান্ত থেকে। এভাবেই ১২টি মিটার উদ্ধার হয়।  

সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা গ্রাহকদের অভিযোগটি ফরওয়ার্ড করে সদর থানায় এজহার হিসেবে পাঠিয়েছি। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করবে।  

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে একটি অভিযোগ ফরওয়ার্ড করা হয়েছে।  এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।  এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই ফোন নম্বর দু’টি ট্র্যাক করে চোর চক্রের সদস্যদের আটক করার চেষ্টা চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad