পরিচয় থেকে প্রণয়। অবশেষে গত সাত মাস আগে শাহ আলমকে ডিভোর্স দিয়ে সাগরকে বিয়ে করেন সায়েমা।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুন রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন আহাম্মদবাগ এলাকার একটি গলিতে সায়েমাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান শাহ আলম। ঘটনার ১১ দিন পর গত ২৭ জুন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সায়েমা।
সোমবার (৬ জুলাই) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে শাহ আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিস্তারিত উঠে আসে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পনা করে সায়েমাকে হত্যা করেন শাহ আলম। ঘটনার দিন সায়েমাকে বাসা থেকে রাস্তায় ডেকে এনে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মাদকসেবী শাহ আলম।
এ বিষয়ে পুলিশের সবুজবাগ জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রাশেদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় সায়েমার বড় ভাই মো. ফারুক সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ধারাবাহিক তদন্তের সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
এসি রাশেদ হাসান জানান, প্রায় আট বছর আগে শাহ আলমের সঙ্গে সায়েমার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় শাহ আলমকে ডিভোর্স দেন সায়েমা। বিষয়টি শাহ আলম মেনে নিতে পারেননি। অন্যান্য বিষয় নিয়েও সায়েমার প্রতি তার ক্ষোভ জন্মায়। সেই থেকেই তিনি সায়েমাকে খুনের পরিকল্পনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
পিএম/আরএ