বাদাম বিক্রেতা মুরাদ মিয়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে ১০ বছর ধরে বাদাম ও ছোলা বিক্রি করে আসছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাদাম কেমন বিক্রি হচ্ছে এ প্রশ্ন করার পর উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
মুরাদ বলেন, ‘সবার মুখে এখন মাস্ক। কেউ মাস্ক খুইলা বাদাম খাইতে চায় না। করোনা গরিব মানুষদের খাইয়া পালাইলো। এখন আর আগের মতো বিক্রি হয় না। এখন দিনে দু-তিনশ’ টাকার বাদাম বিক্রি করতেই অনেক কষ্ট হয়। আর করানোর আগে ১৭ থেকে ১৮শ’ টাকা বিক্রি করতাম। ’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে মানুষ এখন কম। সবাই ভাতের পেছনে ছুটছে। বাদাম আর কখন খাইবো! কিন্তু আমিতো বাদাম বিক্রি কইরা ভাত খাই, আমার ব্যবসাই হচ্ছে এটা। ’
মুরাদ নিরাশার কথা শোনালেও আবার নিজেই আশার কথা শোনান। তিনি বলেন, ‘একদিন করোনা চলে যাবে। আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবো আমরা ইনশাআল্লাহ। আশা করি ভালো দিন আসবে। তখন আমি প্রত্যেক দিন দুই হাজার টাকার বাদাম বেচবো। ’
লালবাগ কামালবাগে একটি মেসে থাকেন মুরাদ। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার জাফরনগর এলাকার বাসিন্দা তিনি। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান গ্রামেই থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
এজেডএস/এফএম