পানির নিচে এদের ডুব সাঁতার মুগ্ধ করার মতো। পানির নিচে পানি ঠেলে এগিয়ে যেতে পটু হলেও ডাঙায় এরা ভালোমতো হাঁটতে পারে না।
ঠোঁট ও ঘাড় লম্বা। দূর থেকে মনে হয় হাঁস। তাই এদের আরেক নাম ডুবুরি হাঁস। পানডুবিও বলা হয় এদের। মেয়ে ও পুরুষ পাখি দেখতে একই রকম। এমনিডে ডুবুরির রং বাদামি। তবে প্রজনকালে রঙে যেন ঝিলিক দেয়।
পৃথিবীতে ২১ রকম ডুবুরি আছে। সবচেয়ে ছোট প্রজাতিটি আছে বাংলাদেশে। এক সময় খাল-বিল, হাওর-বাওড়ে নিয়মিত ডুবুরি দেখা যেত। এখন খুবই কম। এরা খুবই ভীতু পাখি। উদ্ভিদের কচি পাতা, ছোট মাছ, শামুক, ব্যাঙ এদের খাদ্য।
বর্ষাকাল ও শরতের শেষে এরা বাসা বাঁধে। দুজন মিলে বানায় ভাসমান বাসা। জলজ উদ্ভিদ-গুল্মের উপর জলজ ঘাস ও গুল্মের নরম ডগা দিয়ে বাসা বাসা বাঁধে। কচুরিপানার ভিতরেও বাসা করে। তাই শিকারি শত্রুরা সহজে দেখতে পায় না। মেয়ে পাখিটি ৪টি ডিম দেয়। ডিম ফোটে ২৭-২৮ দিনে। বাচ্চারা উড়তে শেখে ২৮ দিন পর। তবে আগে থেকেই মায়ের সঙ্গে পানিতে নামে।
এরা নিজেদের পালক নিজেরা খায়। বাচ্চারা বাবা-মায়ের বুকের লোম ঠুকরে ঠুকরে খায়। বিল-ঝিলের উদ্ভিদ-গুল্ম টিকে থাকলে টিকে থাকবে সুন্দর এ পাখিটি।
তথ্যসূত্র: শরীফ খান, বাংলাদেশের পাখি
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
এএ