ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিনা ভাড়ায় রংপুরের হাড়িভাঙা আম ঢাকার বাজারে পরিবহন শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২০
বিনা ভাড়ায় রংপুরের হাড়িভাঙা আম ঢাকার বাজারে পরিবহন শুরু

ঢাকা: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত ঐতিহ্যবাহী হাড়িভাঙা আম বিনা ভাড়ায় রাজধানীর পাইকারি বাজারে পরিবহন শুরু করেছে ডাক অধিদপ্তর। একই সাথে বিআরটিসি সামান্য ভাড়ার বিনিময়ে মিঠাপুকুরের আম পরিবহন কার্যক্রম চালু করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশে বিনা মাশুলে এই সেবাটি চালু করা হয়।

মন্ত্রী বুধবার দুপুরে ঢাকায় তার দপ্তর থেকে জুম ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রংপুরের মিঠাপুকুর থেকে বিনা মাশুলে রাজধানীতে মৌসুমি ফল পরিবহন সেবা উদ্বোধন করেন।

রংপুর জেলা প্রশাসক মো: আসিব আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: নূর-উর-রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএস ভদ্র কৃষিবিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: ইউসুফ, তরুণ নেতা রাশেক রহমান, ডাক বিভাগের পরিচালক অসিত কুমার, মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়া এবং কৃষক প্রতিনিধি মতিনুর রহমান সরকার অনুষ্ঠানে সংযু্ক্ত ছিলেন।

সুসাধু ও রসালো রংপুরের ঐতিহ্য হাড়িভাঙা আম দেশব্যাপী কদর পেয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে এই আমের চাষ হলেও সাধে অতুলনীয় রংপুরের হাড়িভাঙা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে এই সব মৌসুমী ফল রাজধানীর বিভিন্ন মেগাসপ ও পাইকারি বাজারে বিপণন করা হবে। বিক্রয়লব্ধ টাকা কোন মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কৃষকের হাতে পৌঁছে যাবে। দেশব্যাপী ডাক পরিবহনে নিয়োজিত ঢাকা ফেরৎ গাড়ী সমূহে বিনা মাশুলে প্রান্তিক কৃষকের পণ্য পরিবহনে সরকারের বাড়তি কোন খরচেরও প্রয়োজন হবে না।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের বিনা ভাড়ায় পণ্য পরিববহনের বর্তমান এই ব্যবস্থাটি আপদকালীন তবে আমরা এটি স্থায়ী পদ্ধতিতে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা কৃষকের পণ্য মাশুল ছাড়া পরিবহনের যে যাত্রাটি শুরু করেছি তা আমরা অব্যাহত রাখব।

মনৃত্রী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তির নাম কৃষক। করোনাকালে প্রান্তিক কৃষকের পাশে দাঁড়ানো ঐতিহাসিক দুঃসাহসিক কাজ। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় মানিকগঞ্জ জেলার ঝিটকা থেকে আমরা প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিনা ভাড়ায় পরিবহনের কাজটি শুরু করেছি। কোভিড-১৯ এ সৃষ্ট বৈশ্বিক এই সংকটকালে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সেবাসমূহ সহজতর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার গত ৯ মে থেকে কৃষকবন্ধু ডাক সেবা চালু করেছে।

পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে পেনশনভোগীরা যাতে কষ্ট না পায় সে জন্য করোনাকালে দেশের সকল ডাকঘর আমরা চালু রেখেছি। হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ডাকঘরকে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত করা হয়।

তিনি বলেন, সামনের যে কোন কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন প্রস্তুত। ডিজিটাল বাংলাদেশ অনেক প্রসারিত হয়েছে। জনগণকে ডিজিটার প্রযুক্তিতে শিক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।

এইচ এন আশিকুর রহমান, ডাকঘরকে কৃষকবান্ধব করার মাধ্যমে জনগণের সাথে অধিকতর সম্পৃক্ত করার জন্য টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর উদ্যোগকে একটি যুগান্তকারি কর্মসূচি।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলা প্রিন্টিং দুনিয়ায় মোস্তাফা জব্বার দেশের কিংবদন্তি পুরুষ। ডাক বিভাগ তার হাতে আরও একটি নতুন রূপ পেয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বলেন, প্রান্তিক কৃষকের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন ডাকসেবা পৌঁছে দিতে ডাক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
এমআইএইচ/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।