ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাছকে সন্তানের মতো লালনপালন করতে হয়: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
গাছকে সন্তানের মতো লালনপালন করতে হয়: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: সবাইকে গাছের যত্ন নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজের সন্তানকে যেমন লালনপালন করতে হয়, একটা গাছ লাগালে তাকেও কিন্তু যত্ন করতে হয়, লালনপালন করতে হয়।

সোমবার (১৫ জুন) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কৃষকলীগ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
 
গাছ লাগানোর পাশাপাশি গাছের যত্ন নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুধু গাছ লাগালেই হবে না, গাছ লাগানোর পর গাছের কিন্তু পরিচর্যা করতে হবে।

গাছ লালনপালন করতে হয়।
 
>>>নেতাকর্মীদের অন্তত ৩টি করে গাছ লাগানোর নির্দেশ শেখ হাসিনার

‘নিজের সন্তানকে যেমন লালনপালন করতে হয়, একটা গাছ লাগালে তাকেও কিন্তু যত্ন করতে হবে, লালনপালন করতে হবে। তাহলে তো সে ফল দেবে। আমি ফল খাবো কিন্তু যত্ন করবো না এটা তো হয় না। আমি মনে করি সবাই গাছের যত্ন করবেন। ’
 
...দেশবাসীকে অন্তত ৩টি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা নেতা-কর্মী এবং দেশবাসীকে আজকের দিনে আহ্বান জানাচ্ছি- পহেলা আষাঢ় আসুন সবাই মিলে গাছ লাগাই। গাছ লাগিয়ে দেশের পরিবেশ রক্ষা করি। আবার নিজেরা লাভবান হই, কারণ গাছ বিক্রির টাকা আপনাদেরই সংসারে কাজে দেবে।
 
মুজিববর্ষে গাছ লাগানোর কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মুজিববর্ষেও আমাদের একটা কর্মসূচি আছে যে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করা। অন্তত এক কোটি গাছ তো আমরা লাগাবোই। এর থেকে বেশি আমাদের লাগাতে হবে। কারণ তিন প্রকারের গাছ লাগালে তিন কোটি গাছ আমরা লাগাতে পারি।
 
...‘আসুন মুজিববর্ষে আমরা সবাই মিলে বৃক্ষরোপণ করে আমাদের দেশকে রক্ষা করি। দেশের পরিবেশ রক্ষা করি, আর মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। ’
 
 আওয়ামী লীগসহ এর সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের অন্তত ৩টি করে গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সারা বাংলাদেশে আমাদের বৃক্ষরোপণ করতে হবে। আমাদের যেখানে যত নেতা-কর্মী আছে মূল দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সঙ্গে সব সহযোগী সংগঠন; প্রত্যেক সংগঠনের প্রতিটি সদস্য তিনটি করে গাছ লাগাবে।
 
‘সেটা তার নিজের জায়গায় হোক অথবা নিজের জায়গা না পেলে আমি মনে করি যেখানেই হোক, রাস্তার পাশে হলেও গাছ লাগাতেই হবে। ’
 
শেখ হাসিনা বলেন, এখানে উদ্বোধন করলে হবে না কে কয়টা গাছ লাগালো এবার সেটাও দেখতে চাই।
 
বেশি করে ফলগাছ লাগানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যাপকভাবে ফলের গাছ লাগোনো দরকার। কারণ পুষ্টির যোগান ফল থেকে আসে।
 
উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনী গড়ার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে সবুজ বেষ্টনী গড়তে হবে। যেগুলো মাটি ধরে রাখে, যেমন আমাদের ঝাউ গাছ, খেজুর গাছ, তালগাছ এগুলো আমাদের বিভিন্ন ভাবে লাগানো দরকার।
 
‘এই ব-দ্বীপটাকে (বাংলাদেশ) বাঁচাতে হলে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। ’
 
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী গণভবনে গাছের চারা রোপণ করেন।
 
অনুষ্ঠানে কৃষকলীগ, যারা বেশি গাছ লাগাবে তাদের পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় শেখ হাসিনা পুরস্কার দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কৃষকলীগের ফান্ডে অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
 
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বর্তমান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
এমইউএম/এএ    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।