শুক্রবার (০৫ জুন) বিকেলে মৃত ডা. এহসানুল কবির চৌধুরীর বড় মেয়ের স্বামী এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান জুয়েল বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আনিসুর রহমান জুয়েল বলেন, ১৯৮০ সালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন ডা. এহসানুল কবির। দীর্ঘ চাকরি জীবন শেষে টিএইচএ (ইউএইচ অ্যান্ড এফপিও) পদে থেকে ২০০৯ সালে অবসরে যান। এরপর থেকে তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে থাকতেন। পাশাপাশি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ডা. এহসানুল কবির চৌধুরী ঈদের আগে একদিন অফিস করেন। ঈদের পর ওনার করোনার লক্ষণ প্রকাশ পেলে নমুনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। পরে মুগদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে চারদিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৩ জুন রাত সোয়া ১২টায় তিনি মারা যান। ৪ জুন সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ কামদিযা চৌধুরী বাড়ি পারিবারিক করস্থানে প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়।
মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফিজিওলজি বিভাগে প্রভাষক ডা. শারমিন আফরোজ ডা. এহসানুল কবির চৌধুরী ছোট মেয়ে তার ফেসবুক পেইজে লেখেন, ‘গতকাল ৪ জুন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৫ জন রোগী মারা যান। এরমধ্যে চারজন ডাক্তার। আসলে চারজন নয়, পাঁচজন। আমার আব্বু ডা. এহসানুল কবির চৌধুরী কি এই সংখ্যার মাঝে হারিয়ে যাবেন?’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২০
পিএস/এনটি