ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সুস্থতার ছাড়পত্র নিয়ে ধান কাটতে শ্রমিকরা মানিকগঞ্জে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২০
সুস্থতার ছাড়পত্র নিয়ে ধান কাটতে শ্রমিকরা মানিকগঞ্জে

মানিকগঞ্জ: বিভিন্ন জেলা থেকে বোরো ধান কাটতে মানিকগঞ্জে এসেছেন শ্রমিকরা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য এ বছর নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে কাজে এসেছেন তারা। সঙ্গে এনেছেন স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছাড়পত্রও। 

লকডাউন চলমান থাকা এলাকাগুলো থেকে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কাজে এসেছেন শ্রমিকরা। এই অনুমতিপত্রের কারণে শ্রমিকদের কাজে নেওয়াও আগের চেয়ে অনেকটাই সহজ হয়েছে।

তবে গত বছরের চেয়ে শ্রমিকদের মজুরি কম ধরা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণে বা বেশি মজুরি চাওয়ায় স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করাতে সাহস পাচ্ছেন না অনেকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার বড়বৌ এলাকা থেকে ১৯ জন শ্রমিক মানিকগঞ্জে এসেছেন। প্রত্যেক শ্রমিককে কাজে নিতে অনুমতিপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে নিচ্ছেন জমির মালিক ও কৃষকরা।   

নাটোরের সিংড়া উপজেলার বড়বৌ এলাকা থেকে আসা শ্রমিক সরদার আরশেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতি বছর কাজ করতে মানিকগঞ্জে আসি, এবারো এসেছি। করোনা ভাইরাসের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে অনুমতিপত্র নিয়া আসতে হয়েছে। তবে এটা নিয়ে আইসা ভালো হয়ছে। এখানকার মালিকরা এইগুলা দেইখা শ্রমিকদের নিচ্ছেন। ’  

একই জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমরা ১১ জন আইছি কাজ করতে। কিন্তু কোনো অনুমতি নিয়া আসিনি, যার জন্য কেউ কাজে লইছেন না।  যাও দুই একজন মজুরি কইছেন, তাতে আমাগো পুষছে না। ’

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুলজান এলাকার বোরোচাষি গনেশ বাংলানিউজকে বলেন, ‘করোনার কারণে এ বছর দেশি শ্রমিকরা ধান কাটতে অনেক বেশি টাকা চাচ্ছেন। দেরিতে হলেও জেলার বাইরের শ্রমিকরা এসেছেন। অধিকাংশই স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিজ নিজ উপজেলা পরিষদ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে কাজে আসায় ভালো লাগছে। ’

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকারিভাবে ধান কাটার যন্ত্র দিয়েছি আমরা। তবে কিছু শ্রমিক বাইরের জেলা থেকে ধান কাটতে এসেছেন। সরকারি নিয়ম অনুসারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছাড়পত্র নিয়ে এসেছেন, স্বাস্থবিধি মেনে তারা মাঠে কাজ করছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় জেলার আনসার সদস্য বা প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ২৫ থেকে ৩০ জনের টিম করে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি ইউনিয়নে। ওই টিমের নেতৃত্বে থাকছেন ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের ফোন দিয়ে ডেকে আনলে অন্য শ্রমিকদের চেয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক টাকা কম মূল্যে ধান কাটাতে পারছেন চাষিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।