ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রীমঙ্গলে প্রাকৃতিক ছড়া দখলে ভোগান্তিতে সাড়ে ৩০০ পরিবার

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২০
শ্রীমঙ্গলে প্রাকৃতিক ছড়া দখলে ভোগান্তিতে সাড়ে ৩০০ পরিবার

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় প্রাকৃতিক ছড়ার জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন। এর ফলে পানিবন্দি হয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাড়ে ৩শ পরিবারকে। জলাবদ্ধতামুক্ত রাখতে জলপ্রবাহের প্রাকৃতিক ধারা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এ ছড়া।

ভুক্তভোগীরা বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (৩ জুন) দিনগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকাল পর্যন্ত ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়। ফলে পাহাড়ি ঢল প্রাকৃতিক ছড়া দিয়ে স্বাভাবিক গতিতে প্রবাহিত না হতে পেরে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, শ্রীমঙ্গলে সাতগাঁও বাজারে সরকারি ছড়ার জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনে বিঘ্ন ঘটছে। এতে এলাকার প্রায় সাড়ে ৩শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ ভোগান্তিতে আছেন তারা। বৃহস্পতিবার এলাকাবাসী বাজারের প্রবেশদ্বারে ব্রিজের ওপর বাঁশের বেরিকেট দিয়ে প্রতিবাদ জানায়। খবর পেয়ে দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী সরেজমিন পরিদর্শন এসে পরিস্থিতি ভয়াবহতা দেখে মোবাইলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান।

এর পর পরিদর্শনে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান রণধীর কুমার দেব, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান মামুন, শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. সোহেল রানা, উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মোহন সরকারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এসময় ইউএনও নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটির দ্বারা তদন্ত করা হবে ছড়ার পাশে কারা কারা সরকারি জমি দখল করে আছেন। সরকারি জায়গা ছেড়ে দিতে দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হবে। স্বেচ্ছায় সরকারি জায়গা ছেড়ে না দিলে প্রশানের উদ্যোগে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২০
বিবিবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।