বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকালে অভয়নগর উপজেলার পুড়াখালী বাঁওড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নুরুজ্জামান উপজেলার পুড়াখালী গ্রামের ইমরান গাজীর ছেলে।
অভয়নগর থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুন বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন নুরুজ্জামান বাবু। এরপর তার বাবা ইমরান গাজীর কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ জুন তিনি অভয়নগর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ তদন্ত করে ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ সন্দেহভাজন উপজেলার পুড়াখালী গ্রামের রিফাত আহমেদ আউশ ও ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাককে আটক করে। এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা নুরুজ্জামান বাবুকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে পুড়াখালী বাঁওড়ের কচুরিপানার নিচ থেকে বাবুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কলেজছাত্র নুরুজ্জামান বাবুকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়েছিল। পরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আটক দুইজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাবুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২০
ইউজি/ওএইচ/