ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মারধর ও জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থার ঘটনায় মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২০
মারধর ও জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থার ঘটনায় মামলা এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।

বরিশাল: উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে একটি মাদ্রাসার অফিস সহকারীকে মারধর ও জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থা করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দরিচর-খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ওই অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিন।

মামলায় দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ী, স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার শহীদ দেওয়ান, সাবেক মেম্বার ইউনুস বয়াতি ওরফে কামরুজ্জামান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুস ছত্তার সিকদারসহ ১০ জনকে নামধারী ও আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা বজলু আকন নামে একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ, যিনি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানান মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবিদুর রহমান। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সালিশের নামে বুধবার (৩ জুন) বিকেলে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে স্থানীয় মাদ্রাসার অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিনকে মারধর ও জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থা করা হয়।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ ভিডিওতে দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা রাঢ়ী, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুস ছত্তার সিকদার এবং স্থানীয় চৌকিদারকে ওই কেরানিকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থা করার দৃশ্য রয়েছে।

এদিকে আলাউদ্দিনের স্ত্রী নাহিদা সুলতানা স্বামীর বরাত দিয়ে জানান, ২০১৯ সালে উপবৃত্তির তালিকা পাঠানোর সময় এক ছাত্রী মাদ্রাসায় না আসায় সেখানে নিজের একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ দিন নম্বরটি ব্যবহার না করায় এটি বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট মোবাইল কোম্পানি। এরই মধ্যে ছাত্রীর এক বছরের উপ বৃত্তির ১৮শ’ টাকা ওই মোবাইল নম্বরে জমা হয়। কিছুদিন আগে মোবাইল নম্বরটি সচল করে উপবৃত্তির টাকা দেখতে পান তিনি। ওই টাকা ছাত্রীর পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই গেল ৩০ মে তাকে মারধর করে সিম কার্ডটি নিয়ে যায় ছাত্রীর খালু সাবেক ইউপি মেম্বার সত্তার সিকদার। পরে এ বিষয়টি নিয়ে তিনি শিক্ষা অফিসার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেন। এরপর ঘটনাটি ওই পর্যন্ত গড়ায়।

তিনি বলেন, ‘টাকা আত্মসাতের ইচ্ছে থাকলে গোপনে টাকা উঠিয়ে ফেলতে পারতো, কিন্তু মাওলানা সাহেব তা করেননি। তিনি ওই ছাত্রীর স্বজনদের অবগত করার আগেই মেম্বার সব ঘুরিয়ে দিলেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২০
এমএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।