সিলভারক্রাফট ৪০ মডেলের রিইনফোর্সড পলিমারের তৈরি ৪০ ফুট দীর্ঘ ৭৫০ হর্সপাওয়ারের তিন ইঞ্জিনের প্রতিটি জলযান ৩৩ জন সৈন্য ধারণে সক্ষম এবং এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ নটিক্যাল মাইল বা ১০১ কিলোমিটার।

বুধবার (০৩ জুন) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই জলযানগগুলো যেকোনও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চলাচলে সক্ষম এবং এতে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান সংযুক্তির সুবিধাসহ উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম (RADAR), চতুর্থ প্রজম্মের জিপিএস (GPS), আধুনিক সোনার সিস্টেম (SONAR) এবং আরও অনেক অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সংযোজিত আছে।

এই জলযান নিজস্ব অবস্থান থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রু জলযান এর অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। এছড়া এগুলোতে দুইজন মুমুর্ষূ রোগী পরিবহনেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলাদেশের ৪ হাজার ১৮৪ কিলোমিটার স্থল সীমান্তের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে ১৮০ কিলোমিটার নৌ-সীমান্ত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে ৬৩ কিলোমিটার নৌ-সীমান্ত বিজিবি প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং টহল করে। এছাড়া ২০১৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থলভাগের সার্বিক নিরাপত্তায় বিজিবি নিয়োজিত হয়।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয় সীমান্তবর্তী নাফ নদী। আন্তঃদেশীয় অপরাধীদের নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন, মানবপাচার, চোরাচালান, ইয়াবাসহ মাদক পাচারে চোরাকারবারীদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি এবং চলমান রোহিঙ্গা পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী সংলগ্ন সীমান্ত কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অপরদিকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সাতক্ষীরার নীলডুমুরের সুন্দরবন অংশের গহীন অরণ্যের বাংলাদেশ-ভারত জলসীমান্ত এলাকায়ও অনুরূপ চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

বাংলাদেশের নৌ-সীমান্তে আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মানবপাচার, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পাচার রোধ ও চোরাচালান বন্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত, অধিক সৈন্য বহনে সক্ষম দ্রুতগতির এই জলযান বিজিবির সক্ষমতা বহুলাংশে বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
পিএম/এএটি