এরপর ২৮ মে (বৃহস্পতিবার) ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পায় সেখানকার পুলিশ। এতে প্রমাণ মেলে লোকমানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মোহনপুর এলাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সেখানে সিদাই থানার এসিপি কামাল মজুমদার ও বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে কাশিমনগর ফাঁড়ির পরিদর্শক মোর্শেদ আলম উপস্থিত ছিলেন। নিহত লোকমান মাধবপুর উপজেলার মালঞ্চপুরের মৃত আব্দুল হাশিমের ছেলে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের পর সেখানকার লোকজন লোকমানকে পিটিয়ে হত্যা করে। শুরুতে অপমৃত্যু মামলা হয় ত্রিপুরা রাজ্যের সিদাই থানায়। পরবর্তীতে ২৮ মে হত্যা মামলা দায়ের হলে শুক্রবার মরদেহ নেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেখানকার পুলিশ প্রয়োজনেীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
নিহতের ফুফাতো ভাই বাবুল মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় লোকমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে সে ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়া অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে বলেও নিশ্চিত করেন।
২৪ মে ত্রিপুরা রাজ্যের মোহনপুরে ফুফু তাহেরা খাতুনের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন লোকমান। পথিমধ্যে গোপালনগর এলাকায় স্থানীয়রা তাকে চোর সন্দেহে মারধন করেন। এসময় বেড়াতে যাওয়ার কথা বললেও তাকে মারধর করা হয়। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
ওএইচ/