ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভাড়া বাড়ছে না লঞ্চযাত্রায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
ভাড়া বাড়ছে না লঞ্চযাত্রায়

ঢাকা: আগের ভাড়াতেই রোববার (৩১ মে) থেকে পানিতে ভাসতে যাচ্ছে নৌযান। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই লঞ্চ চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিআইডব্লিউটিএ থেকে।

শুক্রবার (২৯ মে) বিআইডব্লিউটিএ ভবনে লঞ্চ মালিক সমিতি ও নৌযান শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক৷
 
সরকারের সিদ্বান্ত মোতাবেক আগামী ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও নৌযান পরিচালনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
 
বৈঠকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদসহ নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বিআইডিব্লউটিএ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 
সভার শুরুতেই লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে লঞ্চ মালিকদের তুমুল বাকবিতণ্ডা ও হট্টগোল হয়।

এর পরেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে লঞ্চ ভাড়া এখনই না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে একটি কমিটি করা হবে। যারা প্রথম দশদিনের যাত্রী পরিবহনের উপরে নিজেদের প্রতিবেদন জমা দেবে। সে অনুযায়ী ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
 
এ বিষয়ে গোলাম সাদেক বৈঠকে বলেন, ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শুক্রবারের বৈঠকে মূলত কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচল শুরু করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে শারীরিক দূরত্বে কারণে যদি যাত্রী কম হয়, সেক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ানো নিয়ে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হবে। তবে জনসাধারণের উপরে যেন চাপ না পড়ে, সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে।
 
বৈঠকে লঞ্চ মালিকদের পক্ষে মাহবুব উদ্দিন আহমদ বলেন, ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে খবর পাঠানো হয়েছে। যদি আমরা শারীরিক দূরত্ব অনুযায়ী যাত্রী পরিবহন করি, তাহলে আমাদের যাত্রী পরিবহন এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসবে। যাতে লঞ্চের তেলের খরচও উঠবে না।
 
‘শারীরিক দূরত্ব মানতে হলে আমার ব্যক্তিগত ধারণা লঞ্চে যাত্রী কমবে। যাত্রী সংখ্যা কমে গেলে ভাড়া বাড়াতে হবে। তবে এ বিষয়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
 
সভায় জানানো হয়, ৩১ মে থেকে দেশের সকল নদীবন্দরে যাত্রীদের জন্য জীবাণুনাশক ট্যানেল বসানো হবে। সঙ্গে লঞ্চ মালিকরা যাত্রীদের লঞ্চের ওঠার সময় থার্মোমিটারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের যাত্রী পরিবহন করবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
ডিএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।