বুধবার (২৭ মে) রাত ৯টার দিকে করোনার লক্ষণ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
তবে রাতেই শেষকৃত্যানুষ্ঠান হওয়াতে মুক্তিযোদ্ধা বিকাশ দত্তকে গার্ড অব অনার দেয়া সম্ভব হয়নি বলে সূত্র জানায়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কুমুদ রঞ্জন দেব বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা বিকাশ দত্ত মৃত্যুবরণ করার খবরটি শুনে ইউএনও মহোদয়কে ফোনে বিষয়টি জানাই। পরিবারের সম্মতিতে রাতেই শেষকৃত্য করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ট্রাকযোগে বিকাশ দত্তের মরদেহ পৌর শ্মশানঘাট পর্যন্ত নিয়ে আসেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান, শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের একটি টিম।
একরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের টিম প্রধান এহসানুল হক জাকারিয়া ও সৎকার শাখার প্রধান মঞ্জু দাশ মৌলভীবাজার থেকে শ্রীমঙ্গল পৌর শ্মশানঘাটে রাত দেড়টায় পৌঁছেন। এ সময় পৌর শ্মশানঘাটে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিকাশ দত্তের ছেলে বাপ্পা দত্ত।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিকাশ দত্ত জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বুধবার ২৭ মে রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান। মৃতের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম জানান, যথাযথ সংক্রমণবিধি অনুসরণ করে বুধবার দিবাগত ভোররাতে (২৮ মে) বীর মুক্তিযোদ্ধা বিকাশ দত্ত এর শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়েছে। আমাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও তালিকাভুক্ত ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন এর টিম সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধার সৎকার কাজ সম্পন্ন করে। রাতেই সৎকার করার কারণে গার্ড অব অনার দেয়া হয়নি।
পরিবারের লোকজন করোনা সন্দেহ করায় মৃত্যুবরণকারী বিকাশ দত্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিবারের সবার নমুনাও সংগ্রহ নেয়া হবে। নমুনা পরীক্ষার ফল আসা পর্যন্ত তারা কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন জানান শ্রীমঙ্গল ইউএনও নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
বিবিবি/এমএইচএম