ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নারী-শিশু নির্যাতনের ৬ ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
নারী-শিশু নির্যাতনের ৬ ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি বর্বর সহিংসতার ছয় ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

বুধবার (২৭ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এ দাবি জানান।

এতে বলা হয়, গত ১৯ মে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এক কিশোরীকে শাহাদাত নামের ব্যক্তি তার দুই সহযোগীকে নিয়ে অপহরণ করে পাশের উপজেলার একটি বাড়িতে ছয়দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে।

এরপর গত ২৪ মে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় দারোগার হাট এলাকায় একটি শিশুর পরিবার বাসায় না থাকায় সকালে শফিক নামে এক প্রতিবেশী শিশুটিকে ধর্ষণ করে।

একইদিন হিলিতে আদিবাসী পল্লীতে রহমত (৪৫) নামে এক ব্যক্তি তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণচেষ্টা চালায়। ওই রাতেই নওগাঁর সাপাহার উপজেলার হাপানিয়া (দক্ষিণ বেলডাঙ্গা) গ্রামে এক পাষণ্ড স্বামী তার স্ত্রীকে ন্যাড়া করে দেয়। এরপর স্বামী ও শাশুড়ি মিলে ওই গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন করে।

এদিকে সোমবার (২৫ মে) পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় এক কলেজছাত্রী তার প্রতিবেশী কিশোরীর সঙ্গে এলাকার কবিরাজের বাড়ি যান। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির অদূরে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শুকুর আলীসহ চারজন তাদের দু’জনকে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি পাটক্ষেতে নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এছাড়া শেরপুর সদর উপজেলার দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মনির ও তার তিন সহযোগী বেড়ানোর কথা বলে পাকুরিয়া গ্রামে এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে শেরপুর সদর হাসাপাতলের সামনে রেখে পালিয়ে যায়।

এতে আরও বলা হয়, নারী ও শিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে মহিলা পরিষদ। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়াসহ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের সুচিকিৎসাসহ তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছে।

একইসঙ্গে এ ধরনের নৃশংস, বর্বর ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকার, প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেইসঙ্গে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, পারিবারিক সহিংসতা এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রতিরোধে সব সামাজিক শক্তিকে এগিয়ে আসার আহ্বান করছে মহিলা পরিষদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
এইচএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।