ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লালমনিরহাটে হঠাৎ ঝড়-শিলাবৃষ্টি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
লালমনিরহাটে হঠাৎ ঝড়-শিলাবৃষ্টি

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে হঠাৎ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উঠতি বোরা ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় আতঙ্ক বিরাজ করছে কৃষক পরিবারে। মঙ্গলবার (২৬ মে) রাত ৮টার দিকে এ ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়।

কৃষকরা জানান, রাত ৮টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রচণ্ড বেগে ঝড় শুরু হলে হাজার হাজার গাছপালা ভেঙে যায়।

এর পরপরেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। বড় বড় আকারের শিলার আঘাতে অনেক হালকা ও পুরাতন টিনের ঘর ফুটো হয়ে গেছে। বোরা ধান মাড়াই মৌসুমে এমন ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পাকা ও আধাপাকা ধান ছিঁড়ে মাটিতে পড়েছে। লণ্ডভণ্ড হয়েছে ধান গাছ। জেলায় ৫০ শতাংশ জমির ধান কৃষকের ঘরে পৌঁছলেও বাকি অর্ধেক মাঠেই পড়ে রয়েছে। মাঠে থাকা পাকা ধানের অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে। ফলে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে খাদ্য সংকটের শঙ্কায় দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলায় শিলাবৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণও বেশি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চাষিরা। বোরোসহ নানা জাতের সবজিতে ভরে রয়েছে জেলার কৃষকদের ফসলের মাঠ। যা এ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে।

কৃষক নেয়ামত আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় এক বিঘা জমির বোরো ধান পাকার উপযোগী হয়েছে। যে বড় বড় পাথর পড়েছে তাতে গাছে একটা ধানও থাকার কথা নয়। সকালে ক্ষেতে গেলে বোঝা যাবে ক্ষতির পরিমাণ। ধান ঘরে আনতে না পারলে করোনাকালে না খেয়ে মরতে হবে।  

ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, টানা চার-পাঁচ মিনিট ধরে তার এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। পাথরের আকারও ছিল বেশ বড়। বেশকিছু পুরাতন টিনের ঘরের ছাউনি ফুটো হয়েছে। এ এলাকায় ৫০ শতাংশ জমিতে পাকা বোরো ধান পড়ে রয়েছে। যা এ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।  

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বাংলানিউজকে জানান, জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।