কৃষকরা জানান, রাত ৮টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রচণ্ড বেগে ঝড় শুরু হলে হাজার হাজার গাছপালা ভেঙে যায়।
হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলায় শিলাবৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণও বেশি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চাষিরা। বোরোসহ নানা জাতের সবজিতে ভরে রয়েছে জেলার কৃষকদের ফসলের মাঠ। যা এ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে।
কৃষক নেয়ামত আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় এক বিঘা জমির বোরো ধান পাকার উপযোগী হয়েছে। যে বড় বড় পাথর পড়েছে তাতে গাছে একটা ধানও থাকার কথা নয়। সকালে ক্ষেতে গেলে বোঝা যাবে ক্ষতির পরিমাণ। ধান ঘরে আনতে না পারলে করোনাকালে না খেয়ে মরতে হবে।
ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, টানা চার-পাঁচ মিনিট ধরে তার এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। পাথরের আকারও ছিল বেশ বড়। বেশকিছু পুরাতন টিনের ঘরের ছাউনি ফুটো হয়েছে। এ এলাকায় ৫০ শতাংশ জমিতে পাকা বোরো ধান পড়ে রয়েছে। যা এ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বাংলানিউজকে জানান, জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২০
আরবি/