সোমবার (২৫ মে) দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। কোভিড-১৯ করোনা পরিস্থিতিতে ভিন্নরকম এক আমেজে এবং নানান বিধি-নিষেধে এবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদ।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বাসিন্দা ফারহান খান জানান, রোজার সময়েই ঈদের দিন এই মাদ্রাসা এবং এতিমখানার শিশুদের নিয়ে ঈদ উদযাপনের পরিকল্পনা করেন তিনি। তবে ঈদের আগের দিনও খাবারের টাকা জোগাড় করতে পারেননি তিনি। এর জন্য বিক্রি করেছেন বড় ভাইয়ের উপহার দেওয়া শখের ঘড়ি।
ফারহান বলেন, এবার করোনার কারণে ঈদের আনন্দ একেবারেই ম্লান। অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ে হয়তো ঈদের দিন এই ছেলেগুলোর জন্য অনেক কিছু দান করেন। কিন্তু এবার অনেকের ইচ্ছা থাকলেও হয়তো পরিস্থিতির কারণে এগিয়ে আসতে পারেননি। তাই রোজার মধ্যেই নিয়ত করি ঈদের দিন ছেলেগুলোর সঙ্গে কাটাব। যতটুকু পারি ওদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করব। কিন্তু টাকায় হচ্ছিল না। পরে আর উপায় না দেখে শখের একটা ঘড়ি ছিল, বড় ভাইয়ের উপহার দেওয়া। সেটা বিক্রি করে দিয়েছি।
আলিয়া মাদ্রাসা এবং এতিমখানার শিক্ষক কুতুব উদ্দিন বলেন, ফারহান ছেলেটাকে অনেক দিন থেকেই চিনি। সে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশ নেয়। রোজার মাঝেই সে আমাদেরকে তার এই পরিকল্পনার কথা জানায়। আল্লাহর মেহেরবানীতে আর ফারহানের চেষ্টায় এতিম ছেলেগুলো এবার একটু ভালো খাবার খেল।
করোনার এই কঠিন সময়ে সমাজের বিত্তবানদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী গরীব, অসহায় এবং সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি বলেন, আমরা অনেক সময়েই ভাবি যে, আমার কেন কিছু করতে হবে? অন্যরা তো আছে। কিন্তু এভাবেই যদি সবাই ভাবি তাহলে দিনশেষে আর এগিয়ে আসার কেউ নেই। তাই অন্যদের ভরসায় না থেকে নিজের যা আছে সেটাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আপনার আমার একটুখানি অনেকের জন্য অনেকখানি।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
এসএইচএস/এমএইচএম