শুক্রবার (২২ মে) বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে সচিব এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে সুলতানা আফরোজ বলেন, পিপিপি প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকল্প পরিবহন খাতে।
তিনি আরো বলেন, এসব অবকাঠামোর দরকার আছে। আমরা এসবের পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতের গুরুত্ব দেবো। কারণ স্বাস্থ্যখাতে তেমন কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য সেবার পরিসর ও মান বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী যে বিশ্বাস ও আস্থার উপর ভিত্তি করে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন তার প্রতিদান দিতে চান সুলতানা আফরোজ।
সচিব বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দসহ অনুমোদিত প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ৬৭৭টি। এর মধ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) প্রকল্প রয়েছে ৬১টি। ফলে মোট এডিপিভূক্ত প্রকল্পের মাত্র ৪ শতাংশ পিপিপি প্রকল্প। যদিও গত অর্থবছরের থেকে ২১টি প্রকল্প বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও কম। আমরা এই সংখ্যা ৩০ এ উন্নীত করবো।
দায়িত্ব নিয়েই একটা কর্মপরিকল্পনা করেছেন সচিব সুলতানা আফরোজ।
এই প্রসঙ্গে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব বা পিপিপি উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে যে কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে, এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু কার্যক্রম রয়েছে। এগুলো হলো – পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার খাত নির্ধারণ, খাতভিত্তিক কর্মসূচী প্রণয়ন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জিটুজি পার্টনারশিপের ভিত্তিতে প্রকল্প সংখ্যা ও বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি, প্রকল্পের ব্যবস্থাপনাগত উন্নয়ন ও সমন্বয়ে গুরুত্ব, সরকারের মধ্যে পিপিপি বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধি, পিপিপি প্রকল্পের জন্য বিশেষ প্রণোদনা, পিপিপি আইন-২০১৫ ও প্রকিউরমেন্ট গাইডলাইন সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নে গৃহীত সময় হ্রাস।
তাছাড়া, এডিপিতে ৩০ শতাংশ প্রকল্প পিপিপিতে গ্রহণ করা, পিপিপি প্রকল্প অর্থায়ন বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেওয়া ও বেসরকারি খাতের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
এমআইএস/জেআইএম