ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আবারো পদ্মা পাড়ি দিতে যাত্রীদের ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
আবারো পদ্মা পাড়ি দিতে যাত্রীদের ভিড়

শিমুলিয়া ঘাট থেকে: মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে আবারও যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাত ১১টা থেকে ফেরি চালু হয়েছে। শুক্রবার (২২ মে) ভোর থেকে বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের উপস্থিতি।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরিগুলোতে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে অনেকে। ফেরি চালুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক রওনা দিয়েছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ। ফেরিগুলোতে পণ্যবাহী ট্রাক, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের সংখ্যাই বেশি। ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। তবে ঘাটে এসে যাত্রীবাহী গাড়ির চালকদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। যাত্রীর চাপে ফেরিগুলো লোড করতেও বেশি সময় লাগছে না। কানায় কানায় পূর্ণ করে এরপর ফেরিগুলো ছাড়ছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে পরিবহনে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

এদিকে, ট্রলারে চেপেও যাত্রীদের পদ্মা পাড়ি দিতে দেখা গেছে। কাঁঠালবাড়ী ঘাট পর্যন্ত জনপ্রতি ১০০ টাকা ভাড়ায় গাদাগাদি করে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছে। আবার কয়েকটি ট্রলার মাঝ পদ্মা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে নৌ-পুলিশ সদস্যরা।

গাজীপুর থেকে বরিশালগামী যাত্রী রং মিস্ত্রি আব্দুল আওয়াল জানান, ভোরে বাড়ি থেকে ফোন আসে ফেরি চালু হয়েছে। এরপর দ্রুত গাড়িতে করে শিমুলিয়া ঘাটে এসে পড়েছি। পথিমধ্যে বেশি ভাড়া গুনতে হয়েছে। কিন্তু ফেরি চালু হওয়ায় অনেক খুশি, কেননা ঈদে প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঈদ আনন্দ কাটানো যাবে।

শরিয়তপুরগামী যাত্রী সাব্বির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি আটকানো হচ্ছে না। সোমবার সন্ধ্যায় ঘাটে এসে ফিরে গিয়েছিলাম। কিন্তু আবার ফেরি চালুর খবর পেয়ে এসেছি। ঢাকায় থাকলে খরচ অনেক বেশি। জমানো টাকাও শেষ। এমন পরিস্থিতিতে বাড়িতে ফিরে যাওয়াই ভালো।

যাত্রী রমজান মিয়া বলেন, ফেরি যদি আবার বন্ধ হয়ে যায়, এজন্য দ্রুত সবাই ফেরিতে উঠছে। যে যেভাবে পারছে সেভাবেই ঘাটে আসছে। মোটরসাইকেলের একটি বাড়তি চাপও রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বাংলানিউজকে জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় রাত থেকে ফেরি চালু হয়। এখন ১৩টি ফেরি চলছে। ঘাট এলাকা ফাঁকা। কোনো ভিড় নেই। গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেলে ফেরির সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।

হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল বাসেত জানান, এখন কোনো গাড়ি আটকানো হচ্ছে না বা ফেরতও পাঠানো হচ্ছে না।

অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ) জিহাদুল কবির শুক্রবার শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জানান, তিনদিন পরে ঈদ। তাই ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য ফেরি চালু করা হয়েছে। যাত্রীরা যেনো করোনা ভাইরাসের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে যাত্রা করতে পারে সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ