ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ প্রভাব মোকাবেলায় পটুয়াখালী জেলায় ৭৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে মঙ্গলবার (১৯ মে০ রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ২,০৫,৬৮৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ও উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ পূর্নবাসন অধিদপ্তরের আয়োজনে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রোজাদার, শিশু ও বয়স্কদের জন্য রান্না করা হচ্ছে খিচুড়ি।
এছাড়াও প্রত্যেক পরিবারকে চিড়া, গুড়, মুড়ি, বিস্কুট ও পানি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্য রাতে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেলার বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারের এইসব কার্যক্রম ও শেল্টার ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করেন।
এ সময় সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেহেরী ও ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়েছে এ জন্য বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারের নিচতলায় খিচুরি রান্না করতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, যেহেতু ঘূর্ণিঝড়টি আমাদের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানবে তাই সরকারি নির্দেশনা মেনে প্রত্যেককে সুশৃঙ্খলভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
ইউবি