বিষয়টি নিয়ে তারা শনিবার (০৯ মে) রাতে জেলা প্রশাসক হামিদুল হকের সঙ্গে কথাও বলেছেন। এর আগে নগর ভবনে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন।
আলোচনা শেষে লিটন ও বাদশা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, রাজশাহীতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে হলে দোকানপাট-মার্কেট আরও কিছু দিন বন্ধই রাখতে হবে।
রাজশাহী সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, রাজশাহী মহানগরীর জনবহুল আরডিএ মার্কেট কিংবা কাপড়পট্টির মতো এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি নিশ্চিত করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই মার্কেট বন্ধ রাখাই ঠিক হবে। নিজেদের জীবনের স্বার্থে তারা ব্যবসায়ীদের দোকানপাট-মার্কেট না খোলার আহ্বান জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমাদের শহর এখনও করোনামুক্ত। কিন্তু ঝুঁকিমুক্ত নয়। শহরকে নিরাপদ রাখতে হলে আমাদের লকডাউন মেনেই চলতে হবে। সে জন্য দোকানপাট-মার্কেট বন্ধ রাখার কোনো বিকল্প নেই। ঈদের আগে মার্কেট খুলে দিলে আক্রান্ত এলাকা থেকেও অনেকে এ শহরে কেনাকাটা করতে আসবেন। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তাই আমরা দোকানপাট-মার্কেট বন্ধ রাখার পক্ষে। আমাদের সঙ্গে রাজশাহীর ব্যবসায়ী নেতারাও একমত। আমাদের মতামত জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হককে জানানো হয়েছে।
যদিও রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মার্কেট বন্ধ রাখার ব্যাপরে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ব্যবসায়ী সংগঠন চাইলে তারা মার্কেট বন্ধ রাখতেই পারেন। সরকরি নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলার পক্ষে। আর কেউ সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট বা দোকানপাট খোলা না রাখলে তারাও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে, সভা শেষে চেম্বার সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বলেন, রাজশাহীকে ভালো রাখতে যা কিছু করা প্রয়োজন, চেম্বারের সবাই তাতে একমত। আমরা রাজশাহীকে ভালো রাখতে চাই। এজন্য মার্কেট বন্ধ রাখতে হলে রাখবো। কারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এত বড় মার্কেট চালানো সম্ভব না। তবে মার্কেট ব্যবসায়ীরা দোকান খোলার পক্ষে থাকায় আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে।
রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, তারা দোকান বন্ধের এই সিদ্ধান্ত রাতে পেয়েছেন। এখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নেতৃবৃন্দ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
এসএস/এমএইচএম