এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (০৮ মে) বিকেলে আলী আকবর শেখ নামে একজন বন্দিকে খুলনা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বাকি চারজন তাদের জরিমানা প্রদান সাপেক্ষে মুক্তি পাবেন।
মুক্তিপ্রাপ্ত আলী আকবর শেখ বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বাসিন্দা। মুক্তির তালিকায় থাকা অপর চার বন্দি হচ্ছেন- খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর এলাকার টিটো শেখ, খানজাহান আলী থানা এলাকার টিপু মুন্সি, রূপসা উপজেলার কামরুল হাসান সুফিয়ান এবং পাইকগাছা উপজেলার রণজিৎ কুমার সরদার। তারা চুরি ও যৌতুক মামলায় আদালত কর্তৃক এক বছর করে দণ্ডপ্রাপ্ত হন। ইতিমধ্যেই প্রত্যেকের ২-৩ মাস করে সাজা ভোগ সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. ওমর ফারুক জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ (কারা-২) শাখার ২৯ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১(১) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার কর্তৃক ৫ জন বন্দির অবশিষ্ট কারাদণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। এর মধ্যে আলী আকবর শেখ নামে একজনকে শুক্রবার বিকেলে মুক্তি প্রদান করা হয়েছে। তবে, প্রজ্ঞাপনের শর্তানুযায়ী অপর চার জন কয়েদির জরিমানা বকেয়া থাকায় তাদের আটক রাখা হয়েছে। জরিমানার অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে তাদের মুক্তি প্রদান করা হবে।
করোনার কারণে সরকার লঘুদণ্ড ও ২০ বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে খুলনা জেলা কারাগার থেকে এ ধরনের ৬৮ জনকে মুক্তির প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু প্রথম দফায় খুলনা কারাগার থেকে কাউকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয় দফায় ১৪ জনকে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই ১৪ জনের মধ্য থেকে ৫ মে ২ জনসহ মোট ৭ জনকে মুক্তি প্রদান করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
এমআরএম/এইচএডি