কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, এবার তৃতীয় ধাপে ১২৯ জন কয়েদিকে মুক্তি দিতে শুক্রবার (৮ মে) দুপুরেই তারা নির্দেশনা পেয়েছেন। যাদের সাজার সঙ্গে কোনো জরিমানা নেই, তাদের সন্ধ্যায়ই ছেড়ে দেওয়া হবে।
মুক্তির আদেশ পাওয়া আগের ৯৮ জন বন্দির বেশিরভাগই চলে গেছেন। কেউ কেউ জরিমানা পরিশোধ না হওয়ায় এখনও আটকে আছেন। তবে শিগগিরই তারাও মুক্তি পাবেন।
গিয়াস উদ্দিন জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে কারাগারগুলোতে ভিড় কমাতে সরকার লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ধরনের বন্দিদের তালিকা কিছুদিন আগে সারাদেশের কারাগারগুলো থেকে নিয়েছিল কারা অধিদফতর। তালিকা পাওয়ার পর সারাদেশ থেকেই পর্যায়ক্রমে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ এই কারাগারে হাজতি ও কয়েদি মিলিয়ে বন্দি রয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার।
সিনিয়র জেলা সুপার জানান, এ কারাগার থেকে তিন ধাপে কয়েদিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে। সে অনুসারে প্রথম ধাপে ৩৩ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৫ জন এবং তৃতীয় ধাপে ১২৯ জনকে মুক্তির নির্দেশনা তিনি পেয়েছেন। এই ২২৭ জনের বাইরে আর কাউকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
যাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ এক বছর, কিন্তু ছয়মাস বা তারও বেশি সাজা খেটেছেন এ ধরনের কয়েদিদেরই সাধারণ ক্ষমায় সাজা একেবারেই মওকুফ করা হয়েছে। ফলে যারা মুক্তি পাচ্ছেন, তাদের এ মামলায় আর কারাগারে ফেরা লাগবে না। তবে সাজার সঙ্গে কারো অর্থদণ্ড থাকলে তাকে সেই টাকা পরিশোধ করতে হবে। নইলে মুক্তি মিলবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
এসএস/এনটি