মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর, পল্লবী, ধানমন্ডি, প্রেসক্লাব ও মোহাম্মদপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্য দিনের চেয়ে মঙ্গলবার রাস্তায় ব্যক্তিগত পরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেশি।
গণপরিবহন না চললেও রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে চড়ে গন্তব্যে ছুটছেন লোকজন। শুধু তাই নয় বেশ কয়েকটি বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীর অপেক্ষায় ভাড়ায় চালিত যানবাহনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
জীবনের তাগিদে বাধ্য হয়ে বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন বলে জানালেন ভাড়াচালিত পরিবহনের চালকরা। পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তাই আর না পেরে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন। তারপরও অনেক সময় ধরে বসে আছেন কারণ যাত্রী নেই।
এ ব্যাপারে পাঠাও চালক মো. বাদল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘লকডাউনের শুরু থেকে বেশ কয়েকদিন বাসায় ছিলাম। বাসা থেকে বের হইনি। আর চলতে পারছি না। কোথাও থেকে কোনো সহায়তা পাইনি। তাই বাধ্য হয়েই গত দুইদিন যাবত খ্যাপ মারছি। তবে খ্যাপও তেমন নেই। ’
এদিকে জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ ভাড়ায় এসব পরিবহনে নিজের গন্তব্যে যাচ্ছে।
জনসমাগম ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট দেখা গেছে। প্রাইভেট গাড়ি ও মোটরসাইকেল থামিয়ে জনগণকে বাড়ি থেকে বের হতে নিরুৎসাহিত করছে পুলিশ।
অপরদিকে, প্রতিনিয়ত দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় নগরবাসীকে স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি থাকতে হবে। সচেতনতাই পারে এ মহামারি থেকে দেশকে রক্ষা করতে।
তবে দিন যত যাচ্ছে বেকারত্ব, অসহায় দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষের হাহাকারও বেড়েই চলেছে রাজধানীসহ সারাদেশে। লকডাউনের মধ্যে বেকার হয়ে পড়া অসহায় মানুষেরা প্রতিনিয়ত ত্রাণের আশায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভিড় করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২০
এসএমএকে/এফএম