ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

করোনা: ফরজ নামাজের পরেই বন্ধ মসজিদের দরজা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২০
করোনা: ফরজ নামাজের পরেই বন্ধ মসজিদের দরজা

ঢাকা: করোনার কারণে এবারের শব-ই-বরাতে ভিন্ন চিত্র দেশের মসজিদগুলোতে। মুসল্লিদের ঘরে থেকেই নফল ইবাদত আদায় নিশ্চিত করতে ফরজ নামাজের পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ মসজিদের সদর দরজা। ঘরে থেকে নামায আদায় করার আহ্বান জানিয়ে বয়ান হচ্ছে মসজিদে মসজিদে।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) পবিত্র শব-ই-বরাতের আনুষ্ঠানিকতা উদযাপন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। সাধারণত এশার নামাজের পর মসজিদেই নফল নামায এবং অন্যান্য ইবাদত পালন করেন তারা।

তবে এবার করোনার পূর্ব সতর্কতা এবং সরকারি নির্দেশনায় সে চিত্র পুরো বিপরীত।

ফরয নামাজে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং জুম্মার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন মুসল্লি নিয়ে জামায়াত আদায়ের নির্দেশনা আছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে।

এশার আজানের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মসজিদগুলো দেখা যায় এমনই চিত্র। আয়তনে বড় এবং সাধারণত মুসল্লিদের আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ থাকে এমন মসজিদগুলোতেও গিয়ে অনেকটা শূন্য অবস্থায় দেখা যায়। ব্যত্যয় ঘটেনি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও। এশার নামাজের পরই মূল ফটক বন্ধ করে ভেতর থেকে মাইকে বয়ান করছেন এমনটাই দেখা যায় বেশিরভাগ মসজিদে।

জাতীয় মসজিদের পাশাপাশি মিরপুরের আদর্শবাগ বায়তুল হুদা জামে মসজিদ, ১১ নম্বর মসজিদ, বায়তুন নূর জামে মসজিদ, কালসী মসজিদ, পল্লবীর এ-ব্লকের বড় মসজিদ; সবগুলোর অবস্থাই ছিল একই রকম। বায়তুন নূর জামে মসজিদের খতিব মসজিদ কম্পাউন্ডের ভেতরে বেশ খানিকটা দূরে থেকেই কথা বলেন বাংলানিউজের প্রতিবেদকের সাথে। তিনি বলেন, এবার যেহেতু পরিস্থিতি ভিন্ন কাজেই নিয়ম মানতে হচ্ছে। ফরজ নামাজেও পাঁচজনের বেশি মুসল্লি ছিল না। মোনাজাতের পরে সবাইকে বলেছি বাকি ইবাদত বাসায় গিয়ে করতে। এখন দরজা বন্ধ। মসজিদের খাদেম আছেন। একটু পর মাইকে আমরা বয়ান করব।

মসজিদের পাশাপাশি বন্ধ আছে মাজার ও দরগা শরীফের মতো স্থানও। মিরপুর-১ এর শাহ আলী মাজার মসজিদেও এশার ফরজ নামাজের পর কাউকে আর প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। রাজধানীতে মুসল্লি জামায়াতের আরেক স্থান বনানীর জাকের পার্টির কার্যালয়ের কার্যক্রমও ছিল আজ বন্ধ। জাকের পার্টির পক্ষ থেকে এর অনুসারী-ভক্তদের নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে ইবাদত করার অনুরোধ জানানো হয়।

এদিকে মসজিদে মসজিদে নির্দেশনা মেনে নামাজ আদায় করা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে নজর রাখছে পুলিশ। পেট্রোল টিমের মাধ্যমে কোথাও কোন অহেতুক জমায়েত হচ্ছে কি না, দেখা হচ্ছে সেই বিষয়টিও। পল্লবী থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) রাজিব কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের পেট্রোল টিম বিষয়টি দেখছে। মসজিদের পাশাপাশি অন্যান্য জায়গায়ও জমায়েত আছে কি না, অহেতুক কেউ বের হয়েছে কি না এগুলো দেখছে। বেশিরভাগ গাড়ির সাথে মাইক আছে। মাইকে এলাকাবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে অনুরোধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২০
এস এইচ এস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।