শনিবার (০৪ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (ডিসি-ফুড) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
চিঠিতে মন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সাল থেকে দরিদ্রদের জন্য ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ/ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ চালু করেছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল দিয়ে যাচ্ছেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ডিলার মারফত কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘বর্তমান খাদ্য সচিব প্রায় তিন মাস পূর্বে সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিকট তালিকাগুলো হালনাগদ করার জন্য পত্র দিয়েছিলেন। তারপরেও তালিকাসমূহ যদি সম্পূর্ণ হালনাগাদ না হয়ে থাকে তবে এক্ষুনি আপনাদের কাছে আমার নির্দেশনা- যদি কোনো ডিলার, কোনো মেম্বার বা কেউ যদি বেনামি কার্ড সংরক্ষণ করে থাকেন তবে আগামী ৫ এপ্রিলের (রোববার) মধ্যে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তা জমা দেবেন এবং স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতিমালা অনুসরণ করে তা রিপ্লেসমেন্ট করবেন। ’
চিঠিতে জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের আরও জানানো হয়, এই নির্দেশনার পরেও যদি কোনো অবৈধ কার্ড ধরা পড়ে, তবে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২০
এসকে/এবি