বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে নিহতের বাবা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন।
তারা হলেন-শহরের খড়কি পীরপাড়া এলাকার বাপ্পার স্ত্রী নাছরিন সুলতানা তুলি (২৫), সিদ্দিক হোসেনের ছেলে পিকুল হোসেন (১৯), সোবহানের ছেলে মিন্টু (৪৯) ও মন্টু (২৮), সিদ্দিক আলীর ছেলে মুকুল (১৯) ও বিপুল (২৪), মৃত বাবুর ছেলে শিমুল (১৮), মিন্টুর ছেলের ইমন (২০), সদর উদ্দিনের ছেলে টুটুল (৪৫), মৃত রহমত আলীর ছেলে মো. সিদ্দিক।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বুধবার (১ এপ্রিল) বিকেলে আল-আমিন ও তার বন্ধু শামীম মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় নাছরিন সুলতানা তুলির বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় তুলি তাদের দাঁড় করান। কথোপকথনের এক পর্যায়ে তুলি তাদের লাথি মেরে মোটরসাইকেল ফেলে দেয় এবং ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে নিষেধ করেন। এ ঘটনার জের ধরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আল-আমিন ও তার বন্ধু শামীম, ছোট আল-আমিন, প্রতিবেশী জলিল ও সাহেবআলী খড়কি পীরপাড়া এলাকার লুৎফর রহমানের চায়ের দোকানে অবস্থান করেন। এসময় আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। এতে আল-আমিন, ছোট আল-আমিন, সাহেবআলী গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে ১৯ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা আলমগীর হোসেন। আসামিদের মধ্যে থেকে দশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
এরআগে বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে যশোর শহরের খড়কি পীরপাড়া এলাকায় বালু ব্যবসায় কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন আল-আমীন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
ইউজি/ওএইচ/