ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এক ফোন কলেই ৩১৩ ঘরে পৌঁছালো খাবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২০
এক ফোন কলেই ৩১৩ ঘরে পৌঁছালো খাবার এক ফোন কলেই ৩১৩ ঘরে পৌঁছালো খাবার

ঢাকা: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সারা পৃথিবীকে নিস্তব্ধ করে দিয়ে। যতো সময় গড়াচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও বাড়ছে। এই সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করছেন দেশের মানুষ। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল।

 

 

 

 

এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালকসহ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা। এর ফলে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে তাদের।

এমনিভাবে খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়াদের পরিবারের।   এসব সম্প্রদায়ের মানুষের ঘরে খাদ্য সংকট।   কারণ সবার আয় কমে গেছে।   এরপরে হিজড়াদের নেত্রী রাখী খাদ্য সহায়তা চেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসে বার বার ফোন করে।   রাখীর এক ফোনেই ৩১৩ ঘরে খাবার সহায়তা ত্রাণ পোঁছে দেওয়া হয়।             

হিজড়াদের ৩১৩টি পরিবারে বুধবার (০১ এপ্রিল ) বিকেলে খাবারের সংকট মেটাতেই ৩৩৩ হটলাইনে কল করে বসেন। এই কল নম্বর ঢাকা জেলা প্রশাসনে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। এর পরেই সন্ধ্যার মধ্যেই ঢাকা জেলা প্রশাসন অনাহারে থাকা পরিবারের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩১৩ পরিবারের হাতে, পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল ও এক লিটার তেল পৌছে দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন, ঢাকা তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) সম্প্রদায়ের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী হিজড়া সম্প্রদায়ের ৩৩০ জনের মধ্যে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসন, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সফিকুল ইসলাম ও মো. মমিন উদ্দিন এবং ৪জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সহযোগে বড়বাগ মিরপুর, দুয়ারিপাড়া, রায়েরবাজার, চাঁদ উদ্যান, উত্তরা, খিলগাঁও ও বাসাবো এলাকাতে ঘুরে ঘুরে এ ত্রাণ বিতরণ করেন।

এছাড়া ও করোনা ভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকায় স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের হট লাইন নম্বর ও ৩৩৩ ফোন করে ত্রাণ সহযোগিতা চাইলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দ্রুত সময়ের মধ্যে ৭৪ জনের বাসায় খাবার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

মিরপুর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মোরাদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় তৃতীয় লিঙ্গের এক নেত্রী ফোন করেন।   উনার ফোনের ভিত্তিতে আমরা ঘটনা যাচাই করে। যাচাই- বাছাই করে আমরা ৩১৩ পরিবারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। এর পরে ৭৪ জন পৃথক পৃথকভাবে আমাদের কাছে ফোন করেন। তাদের ঘরেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এমআইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।