বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দীন বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করেন।
এছাড়া ওই বাড়ির আশেপাশের আরও ১০টি বাড়িকে প্রশাসনের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দিনগত রাত ৯টার দিকে শ্বাসকষ্ট ও সর্দি-জ্বর নিয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের মধ্য বয়সী এক রোগী। বর্তমানে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই রোগী ভর্তি হওয়ার পর করোনা আতঙ্কে বেশকয়েকজন রোগী হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছেন।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন নাসির উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার পর জানা যাবে তিনি করোনা রোগে আক্রান্ত কিনা। তবে রোগীর বাড়িসহ আশেপাশের ১০টি বাড়ি প্রশাসনিক নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলারা রহমান বাংলানিউজকে জানান, রোগীর পরিবারের সদস্যদের বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের ভোগ্যপণ্যসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করা হবে। পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলোকে প্রশাসনিক নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। আইইডিসিআর-এ পাঠানো রোগীর নমুনার প্রতিবেদন দু-একদিনের মধ্যে আসবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোগীর ছেলে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, প্রথমে বাবাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়েছি কিন্তু সেখানে তারা ভর্তি নেননি। ডাক্তাররা সামান্য ব্যবস্থাপত্র দিয়েই বাড়িতে চিকিৎসা নিতে বলেন । এরপর বাবার অবস্থা আরও অবনতি হলে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। সন্ধ্যা থেকে তাকে ভর্তি করানোর চেষ্টা করি কিন্তু ডাক্তাররা শুরু থেকেই তালবাহানা করেন। পরে উচ্চ পর্যায়ের লোক দিয়ে তদবির করে রাত নয়টার দিকে ভর্তি নিলেও কোনো চিকিৎসা দেননি তারা। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দু-একটি ওষুধ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এমআরএ