কথাগুলো বলছিলেন সাটুরিয়া নয়াডিঙ্গী ফৌজিয়া ব্রিকসের পাবনা থেকে আসা শ্রমিক স্বপন মিয়া।
সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষা নিশ্চিত না করেই ইটভাটার শ্রমিকরা কাজ করছে সর্বচ্চ ঝুঁকি নিয়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই ফৌজিয়া ব্রিকস আর ভোর থেকে রাত পর্যন্ত জীবনের সর্বচ্চ ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছে নিম্ন আয়ের এই মানুষগুলো। যেখানে সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা কাজ কর্ম করতে বলেছেন সেখানে তারা জানে না যে সামাজিক দূরত্ব-টা কি। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টা না জানায় তারা একসঙ্গে ঘা-ঘেঁসাঘেঁসি করে শুকনা ইট ভ্যানে করে নির্দিষ্ট একটি স্থানে ষ্টক দিয়ে রাখছে, কাজের সময় তাদের কারো হাতে গ্লাভস বা মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। আবার অনেককে দেখা গেছে মাটির বোল্ট থেকে মাটি তুলছে তাদেরও নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব বা সুরক্ষা সরঞ্জামাদি।
সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর এলাকা থেকে আসা ফৌজিয়া ব্রিকসের মাটির বোল্টের শ্রমিক মুকুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কয়দিন ধইরা টিপি-তে শুনছি করোনা ভাইরাসের কথা, হগলরে টিপিতে কইতাছে ঘরে থাকবার লিগা। আমি ঘরে থাকলে, কাম না করলে তো আমার বাল-বাচ্চা না খাইয়া মইরা যাইবোনে। মরলে মরমু কাম কইরা মরমু, গরিবের উপরে আল্লাহ আছে।
একই এলাকার কালাম নামে আরো এক শ্রমিক বলেন, কাম না কইলে পেটে ভাত উঠবোনে না, কাম কইলে কোন অসুক হইবোনে না। ব্রিকস থেকে মাস্ক দিয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, কাম না কইলে গালি শুনতে শুনতে পেট ভইরা যাবোনে আবার মাস্ক দিবোনে কোম্পানি।
ফৌজিয়া ব্রিকসের ম্যানেজার আব্দুল রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যেক ভাটা শ্রমিককে মাস্ক দিয়েছি এতে আর কয় টাকা খরচ হয়েছে কোম্পানির। কাজের সময় ওরা মাস্ক পরে না, যখন আজিরা বসে থাকে তখন মাস্কগুলা পরে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
আরএ