মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা. শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপজেলা প্রশাসন ওই পরিবারের সদস্যদেরসহ আশপাশের ১২টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
আক্রান্ত ব্যক্তির সৌদি প্রবাসী। তিনি ১৭ মার্চ সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন।
ডা. শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রোববার (২৯ মার্চ) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে ভর্তিকৃত একজন বৃদ্ধ এবং তিন জন প্রবাসীসহ চার ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআরে) পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার তাদের রিপোর্ট পাওয়া যায়। এর মধ্যে রিপোর্টে তিন জনের নেগেটিভ ও একজন সৌদি প্রবাসীর পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলায় মোট ৫৪০ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। আমরা তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখি। এখন পর্যন্ত ১২২ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। বাকিদের কোয়ারেন্টিনের সময় পার হওয়ায় তারা ছাড়পত্র পেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম সালাউদ্দিন মনজু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে ঢাকার আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তারা বিকেলে এসে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যান।
তিনি আরো জানান, ওই বাড়িগুলোতে হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যানার ও লাল নিশানাও টানিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
আরএ